ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

একজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের ডায়েরি

ইমরুল ইউসুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৭ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৩
একজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের ডায়েরি

এই মুহূর্তে লেখাটি যারা পড়ছো তাদের মধ্যে নিশ্চয় কেউ না কেউ ক্লাস ক্যাপ্টেন। কিংবা কোনো না কোনো সময় ক্লাসে ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব পালন করেছো।

কি বন্ধুরা, ঠিক বলেছি না?

উত্তর যদি হ্যাঁ সূচক হয় তাহলে তোমরা নিশ্চয় জানো ‘ক্লাস ক্যাপ্টেন’ হওয়ার বড় গুণ শক্তিশালী গলার স্বর। স্বর এমন হওয়া প্রয়োজন যেন আমি ক্লাসের যেকোনো প্রান্তে দাঁড়িয়ে চিৎকার করলে পুরো ক্লাসটা শুনতে পায়। আর ক্যাপ্টেন তারই হওয়া উচিত যার কথা সবাই শোনে, যাকে ভয় পায়Ñ মানে মোদ্দা কথা যার মধ্যে নেতৃত্ব দেয়ার গুণ আছে। আমার মধ্যে এসব গুণাবলির ছাইও নেই। আমি চেঁচাতে পারি না, কেউ আমার কথা শোনে না, আমাকে ভয় পায় না। তবু কোনো এক অজানা কারণে প্রতি ক্লাসেই আমি ক্যাপ্টেন হয়ে যাই। ক্যাপ্টেন হিসেবে আমাকে সবার পছন্দ। কারণ আমি বকাঝকা দেই না, শাসন করি নাÑ এই না হলে আদর্শ ক্যাপ্টেন! তবে আমি আমার দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন।
 
তোমরা এতক্ষণ যার গল্প শুনছিলে তার নাম ঝুনু। সে এখন ক্লাস ফাইভ ছেড়ে সিক্সে উঠেছে। প্রাইমারি পেরিয়ে হাই স্কুলে। জুনিয়র পেরিয়ে সিনিয়রে। এই ক্লাসের পরিবর্তনের সঙ্গে এলো আরো অনেক পরিবর্তন। সেগুলো আশেপাশের মানুষগুলোর মানসিকতার পরিবর্তন, দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। ক্যাপ্টেন হওয়ার পরপরই সবকিছু জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠতে লাগল। সেই সঙ্গে কী জটিল হয়ে গেল ঝুনু নামের সাধারণ মেয়েটির সহজ মনটাও? কীভাবে সে নানা জটিলতার মধ্যে বাঁচিয়ে রাখল নিজেকে? তার ঠিকানা হলো পুরোনো ক্লাসরুম ছেড়ে নতুন এক ক্লাসরুম।

নতুন ক্যাম্পাস। নতুন শিক্ষক-শিক্ষিকা। ক্যাপ্টেন হিসেবে নতুন এক দায়িত্ব। পুরোনো মানুষগুলোর নতুন রূপ। নতুন এক সংগ্রাম। যার নাম নাকী জীবন সংগ্রাম। ঝুনু কি পেরেছিল নিজেকে এই সংগ্রামের, এই যুদ্ধের উপযুক্ত যোদ্ধা হিসেবে গড়ে তুলতে? সব জায়গায় জয়ী হওয়া সেই মেয়েটি কি আদৌ পেরেছিল সেই সংগ্রামে জয়ী হতে? কীভাবে সে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছিল নতুন পরিবেশের সঙ্গে? কীভাবে পালন করেছিল তার ক্যাপ্টেন্সির গুরুগম্ভীর দায়িত্ব?

বন্ধুরা, তোমাদের এখন নিশ্চয় এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে ইচ্ছে করছে তাই না? হ্যাঁ বন্ধুরা, এত্তোসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে তোমাদের একটি বই পড়তে হবে। বইটির নাম ‘একজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের ডায়েরি’।

তোমাদের জন্য এই কিশোর উপন্যাসটি লিখেছেন লেখক বন্ধু মীম নোশিন নাওয়াল খান। বইটির প্রচ্ছদও এঁকেছেন লেখক নিজেই। বন্ধুরা, তোমরা জেনে অবাক হবে ২০০৯ সালে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় যখন তার প্রথম বই ‘কণকচাঁপা’ প্রকাশিত হয় তখন সে ছিল বাংলাদেশের সর্বকনিষ্ঠ লেখক। এরপর তার আরো তিনটি বই ‘স্বপ্নপুরী’ ‘বুকের ভিতর স্বপ্ন’ ও ‘রূপার নূপুর’ প্রকাশিত হয়েছে।

‘একজন ক্লাস ক্যাপ্টেনের ডায়েরি’ তার পঞ্চম বই। বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার বাংলাবাজারের ‘ঝিঙেফুল’ প্রকাশনী। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩-এ প্রকাশিত ৬৪ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ১৬০ (একশত ষাট) টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি
মেইল: ichchheghuri@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।