ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

মগডাল বাহাদুর

ইমরুল ইউসুফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০১৩
মগডাল বাহাদুর

তোমাদের মতো আমি এক ছোট্ট বন্ধুকে চিনি। তার নাম রাজু।

সে কি করেছে জানো?

‘রাজু তার খেলনাপাতিগুলো গাছের মগডালে জড়ো করে সংসার পেতে বসেছে। আশপাশের ডালগুলোতেও তা বিস্তৃত হয়েছে। মায়ের রাগ পড়ার অপেক্ষায় তাকে মুখ ভার করে তাই শুধু পা নাড়াতে হয় না। খেলনাপাতিগুলো নিয়ে খেলতে খেলতে পুরোটা দিনও পার করে দেয়া যায়। মা গাছের নিচ থেকে সরে গেলেও আজকাল আর রাজু নামার চিন্তা করে না। খাওয়া-দাওয়ার প্রতি তার এমনিতেই অনাগ্রহ, সেটা নিয়েও তাই ভাবনা নেই। মগডালেই তার সুন্দর সময় কেটে যায়। ’

ছোট্ট আরেক বন্ধুর নাম ছোটকু। বাজার থেকে বাবার কেনা ‘মুরগিটাকে চরাতে ইচ্ছে হলো ছোটকুর। কিন্তু মুরগি তো আর গরু-ছাগল না যে দড়িতে বাঁধা অবস্থায় চরবে! পা-পাখার বাঁধন খোলা পেয়ে মুরগি শুরু করলো ছটফটানি। ছোটকুও মুরগিটাকে চরাবেই। সেও তাই শুরু করলো টানাটানি। ওদিকে মুরগি ছটফটায় আর এদিকে ছোটকুও ছাড়ে না।

তারপর আর কী, যা হবার তাই হলো। মুরগিটা গলায় ফাঁস লেগে অক্কা! মোটকু এই কাণ্ড দেখছিল চুপচাপ। ছোটকু যখন ফ্যাকাশে মুখ করে নিথর মুরগিটা হাতে নিয়ে উঠোনে দাঁড়িয়ে আছে তখন মোটকু এক দৌড়ে রান্নঘর থেকে বটি নিয়ে আসে। তারপর দুই ভাই মিলে মুরগিটা জবাই করে বারান্দায় যথাস্থানে রেখে দেয়। ’

আর আমি কী করলাম জানো? বইটির পুরোটাই পড়ে মাথার কাছে রেখে দিলাম। তারপর ভাবলাম বইটি নিয়ে ছোট্ট একটি আলোচনা লিখি। এখন নিশ্চয় আমাকে প্রশ্ন করবে এতক্ষণ গল্পের যে অংশটুকু পড়লাম তার পুরোটাই কোন বই থেকে পড়ে নেওয়া যাবে। জানা যাবে রাজু কেন গাছের মগডালে বসবাস শুরু করেছিল। বারান্দায় রাখা জ্যান্ত মুরগিটা জবাই করা দেখে বাবা ছোটকু আর মোটকুকে কী বলেছিল। এসব প্রশ্নের উত্তর জানতে হলে তোমাদের একটি বই পড়তে হবে। বইটির নাম ‘মগডাল বাহাদুর’।

তোমাদের জন্য বইটি লিখেছেন লেখক বন্ধু মুহসীন মোসাদ্দেক। লেখক তোমাদের উপযোগী মজার মজার সাতটি গল্প দিয়ে বইটি সাজিয়েছেন। বইটির প্রচ্ছদ এবং অলংকরণ করেছেন আঁকিয়ে বন্ধু রকিবুল হক রকি। বইটি প্রকাশ করেছে ঢাকার তেপখানা রোডের সিঁড়ি প্রকাশন। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৩-এ প্রকাশিত ৪৮ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ১০০ (একশত) টাকা।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, বিভাগীয় সম্পাদক, ইচ্ছেঘুড়ি- ichchheghuri@banglanews24.com

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।