ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

সন্তানের জন্য ডাইনোসর রাজ্য!

আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪০৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৭, ২০১৩
সন্তানের জন্য ডাইনোসর রাজ্য!

সন্তানকে খুশি ও বিস্ময় জাগাতে বাবা রেফি ও মা সুসান বাড়িতে একটি ডাইনোসর রাজ্য গড়ে তুলেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কানসাসের বাড়িতে সন্তানদের উৎসাহ যোগানো ও মনোরঞ্জন করাও তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।

বাবা-মা সন্তানদের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে প্রতিজ্ঞা করতেন, কাল সকালে উঠে তাদের জন্য বাড়িতে একটি চমৎকৃত পরিবেশ থাকবে।

সেই অনুযায়ী তারা পুরো বাড়িজুড়ে ডাইনোসর রাজ্যের আবহাওয়া তৈরি করলেন। ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে তাতে ৭৫ হাজার লাইক পড়লো।

2m2

সন্তানদের তারা এটা বোঝাতে সক্ষম হলেন যে, তারা যখন ঘুমিয়ে ছিল এই ডাইনোসররা জীবন্ত হয়েছিল এবং ঘরের দেয়ালসহ বিভিন্ন স্থানে তার নিদর্শন রয়েছে।

3m2

এই দম্পতিকে এমন আবহাওয়া তৈরি করতে হয় যে, রাতে ডাইনোসর এসে তাদের টয়লেটে ঢুকে টিস্যুর রোল খুলেছে, রান্নাঘরে ঢুকে ডিম ভেঙেছে এবং খেয়েছে।

এখানে দেখা যাচ্ছে ডাইনোসরা রান্না-বান্নার চেষ্টা করছে। কিন্তু ফলাফল যা হলো তাকে বিপযর্য় ছাড়া আর কিছু বলা যাচ্ছে না।

/4m2

রেফি পেশায় একজন লেখক। তিনি ডেইলি মেইলকে জানান, এটা তার প্রচেষ্টার দ্বিতীয় বছর। এবছর তিনি বাচ্চাদের খেলনাগুলো এ কাজে ব্যহার করছেন।   তাদের সন্তানরা সারা রাত জেগে থাকতো এবং পরেরদিন না ঘুমিয়ে তাদের কাজ করতে সমস্যায় পড়তে হতো। খেলনা, টিভি কোনোকিছুতে তাদের আসক্ত করা যেত না। তারপর এ ব্যবস্থা।

5m2

উপরের ছবিটি দেখে মনে হচ্ছে এই দম্পত্তির সন্তানরা যখন ঘুমাচ্ছিল তখন জুরাসিক পার্কের এই সদস্যরা টেবিলে রাতে জমিয়ে টি-পার্টির আয়োজন করেছিল।

6m2

রেফি বলেন, আমার স্ত্রী সুসান এক রাতে ডাইনোসরগুলোকে বেসিনে রেখে দেন এটা বোঝাতে যে তারাও ব্রাশ করে। পরদিন সকালে তাদের মেয়ে আডিয়া এসে জানায়, সে সত্যি এটা বিশ্বাস করেছে। এ ঘটনার পর তার রেফির বন্ধুরা তাকে ডাইনোভেমবার ফেসবুক পেজ খুলে তা সারা বিশ্বের মানুষের সঙ্গে শেয়ার করা পরামর্শ দেয়।

7m20

এই গ্রুপের ফলোয়ার এখন ৭৬ হাজার। রেফি বলেন, প্রথমে আমরা আমাদের সন্তানের জন্য কি করছি, তা ছিল মুখ্য বিষয়। কিন্তু বন্ধুরা এটা দেখে পছন্দ করলো। তারা আমাকে এটা এগিয়ে নিতে বললো। তারা বললো, আমি যদি একটি ফেসবুক পেজ করি এবং অন্য বাবা-মা এটা দেখেন তারাও চেষ্টা করবেন তাদের সন্তানের মঙ্গলের জন্য তারাও কিছু করবেন। প্লাস্টিকের ডাইনোসর সব শিশুরেই থাকে। তবে এটাকে এভাবে উপস্থাপন করার কথা কেউ ভাবে না।

8m20

ডাইনোসরের মধ্যে একটা আগুনমুখী ড্রাগন এনে সুসান তার সন্তানদের এটা বোঝাতে চাইলেন যে, এরা জীবন্ত হয়ে ফিরে আসে।

বাংলাদেশ সময়: ০৪০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৮, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।