ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

বিশ্বের শিংওয়ালা মানব-মানবী!

মোহাম্মদ মুহিবুল্লাহ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৪
বিশ্বের শিংওয়ালা মানব-মানবী!

বিভিন্ন মিথলজি বা পুরাণে শিংওয়ালা দেব-দেবীর অস্তিত্ব সম্পর্কে আমরা জানি। কিন্তু শিংওয়ালা মানুষ কি সম্ভব? রক্ত মাংসের মানুষ? হ্যাঁ, সম্ভব।

বিষয়টি অনেকটা কল্পনা বাস্তবে পরিণত হওয়ার মতোই।

অবিশ্বাস্য ও খুব বিরল হলেও সত্য, বিশ্বে এমন কিছু মানুষ আছেন যাদের মাথায় শিং গজিয়েছে। মেডিকেলের ভাষায় একে বলা হয় ‘কিউটেনিয়াস হর্ন’।

ওয়ার্ল্ড জার্নাল অব সার্জিক্যাল অনকোলজির তথ্য অনুসারে, এ পর্যন্ত ৫৫ জনের বেশি পুরুষ ও ৬৫ জনেরও বেশি নারীর ‘কিউটেনিয়াস হর্ন’ দেখা গেছে। সাধারণত বয়স্ক মানুষদের মধ্যে এ শিঙের দৃষ্টান্ত বেশি।

শিংওয়ালা মানুষের অস্তিত্ব প্রথমে পাওয়া যায় ১৫০০ সালে।

এখানে সাম্প্রতিক সময়ের শিংওয়ালা কিছু মানব-মানবীর পরিচয় তুলে ধরা হলো-

জ্যাং রুইফ্যাং। বয়স ১০১ বছর। বসবাস চীনের লিনলুও গ্রামে। তিনি মাথার বাম পাশে ছাগলের শিং আকৃতির ৬ সেমি লম্বা শিং বহন করে
চলেছেন।

তার মাথার ডান পাশেও শিং গজানো শুরু হয়েছে। মিডিয়ার নজরে আসার পর ডাক্তাররা তার শিং অপসারণের সুযোগ দিলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।

২০০৪ সালে ৫৯ বছর বয়সী এই নারী ডাক্তারের কাছে আসেন মাথার সামনে ২০ সেমি লম্বা শিং নিয়ে। তিনি জানান, দুই দশক আগে মাথায় তিনি প্রচণ্ড আঘাত পান।

তখন তা শুকিয়ে গেলেও পরে সেখান থেকে বাকানো শিং গজানো শুরু হয়। অপারেশনের মাধ্যমে ডাক্তাররা তার শিং অপসারণ করেন।

সালেহ আবু তালিব ইয়েমেনের অধিবাসী। ৭৮ বছর বয়সে একদিন তিনি তার মাথায় শিংটি আবিষ্কার করেন।

২০০৭ সালে ১০২ বছর বয়সে তিনি মিডিয়ার নজরে আসেন। ইয়েমেন অবজারভারকে তিনি জানান, এটা তার প্রতি আল্লাহ তায়ালার উপহার। উল্লেখ্য, শিংটি একবার খসে পড়লেও একমাসের ব্যবধানে আবার জন্ম নেয়।


মা জং নান। বয়স ৯৩ বছর। বসবাস চীনের একটি ছোট্ট গ্রামে। ২০০২ সালে তিনি চুল আচড়ানোর সময় মাথায় আঘাত পান।

ছোট ক্ষতকে গুরুত্ব না দিলেও কয়েক দিন পর দেখতে পান তার মাথায় শক্ত একটা শিং গজাতে শুরু করেছে।

আধা বছরের মধ্যে তা ১০ সেমি লম্বার শিং এ পরিণত হয়। ২০০৭ সালে ঘটনাটি মিডিয়ার নজরে আসে।

আব্দুর রাজ্জাক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা। বসবাস ভারতের নারাসিমহারাজাপুরা। মাথায় একাধিক শিং নিয়ে তিনি জীবনযাপন করছেন।

পুলিশের চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর ২০০৮ সালে তার মাথায় শিং গজানো শুরু হয়।

বৃদ্ধা নারীটির নাম গ্র্যানি জাও। বসবাস চীনের জেনজিয়াং শহরে। তার মাথার সামনে থেকে ঝুলে আছে বাকানো শিং।

তিনি জানান, প্রথমে সেটা আঁচিলের মতো থাকলেও পরে বাড়তে থাকে এবং শিঙের আকার নেয়। কোন ব্যথা না থাকলেও এটা তার দৃষ্টিতে সামান্য ব্যহত করে।

ইচ্ছেঘুড়িতে লেখা পাঠান এই মেইলে: ichchheghuri24@gmail.com

বাংলাদেশ সময়: ১৪০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১০, ২০১৩
সম্পাদনা: আসিফ আজিজ, নিউজরুম এডিটর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।