ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

জেনে নাও ‘জেট ল্যাগ’

মীম নোশিন নাওয়াল খান, মীম নোশিন নাওয়াল খান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫
জেনে নাও ‘জেট ল্যাগ’

যদি তুমি কোনো জায়গা থেকে ঠিক বিপরীত টাইম জোনের কোনো দেশে বিমানে চড়ে যাও, তবে দেখবে তোমার দিনের বেলায় ঘুম পাচ্ছে আর রাতে জেগে থাকছ। এছাড়াও আরো কিছু শারীরিক সমস্যাও দেখা যায়।

এটাকেই বলা হয় জেট ল্যাগ।

আমেরিকা থেকে কেউ যদি বাংলাদেশে আসে, তাহলে সে দিনে ঘুমাবে আর রাতে জাগবে। যতক্ষণ না সে বাংলাদেশের সময়ের সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারবে, ততক্ষণ এ ধরনের সমস্যা হবে। খাওয়া-দাওয়াসহ অন্যান্য স্বাভাবিক কাজকর্মেও ব্যাঘাত ঘটবে।

মূলত পশ্চিমের কোনো দেশ থেকে পূর্বের কোনো দেশ বা পূর্ব থেকে পশ্চিমে বিমানে ভ্রমণ করলে জেট ল্যাগ হয়। এর কারণ বিমানে বিভিন্ন টাইম জোনের দেশ পার হওয়ার সময় শরীরকে বিভিন্ন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কখনো দিন, কখনো রাত- এমন হওয়ায় মস্তিষ্ক ঠিক সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে না। সেজন্য বিভিন্ন টাইম জোন পার হতে হয়- এ ধরনের বিমান ভ্রমণেই সাধারণত যাত্রীদের জেট ল্যাগের সমস্যা দেখা দেয়।

জেট ল্যাগের ফলে মূলত ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। হয়তো কেউ দিনের বেলায় ঘুমিয়ে পড়বে, মাঝরাতে জেগে উঠবে, কিংবা রাতে বারবার ঘুম ভেঙে যাবে।

জেট ল্যাগ কাটিয়ে উঠতে কারো কারো একদিন, আবার কারোর কয়েকদিন লেগে যায়। এটা নির্ভর করে মানুষের শারীরিক অবস্থার ওপরে। জেট ল্যাগ কাটিয়ে ওঠার জন্য বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল লাইট থেরাপি। এছাড়া ব্যায়াম করা এবং সঠিক সময়ে নিয়ম করে খাওয়াদাওয়াও জেট ল্যাগ কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।