ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

শিশু চিত্রকলা প্রতিযোগিতায় আহমেদ ইসমাঈল সোবহানের পুরস্কার লাভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৬ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১১
শিশু চিত্রকলা প্রতিযোগিতায় আহমেদ ইসমাঈল সোবহানের পুরস্কার লাভ

ঢাকা: পটুয়া কামরুল হাসান আর্ট স্কুল আয়োজিত জাতীয় শিশু চিত্রকলা প্রতিযোগিতায় অন্যদের সঙ্গে ক গ্রুপে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে আহমেদ ইসমাঈল সোবহান। সে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকার নার্সারী শ্রেণীর ছাত্র।



বুধবার সন্ধ্যায় ‘বৈশাখে ছবি আঁকা, জ্যৈষ্ঠে প্রদর্শনী’ শীর্ষক এ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের
আয়োজন করা হয়।  

শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরির শওকত ওসমান মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে পুরস্কার গ্রহণ করেন এ শিশুশিল্পীর চিত্রশিক্ষক খন্দকার মাহফুজ আলম।

এ গ্রুপে পুরস্কার পেয়েছে মোট ৮৪ জন। কম্পোজিশন অব বার্ড বা পাখিদের বিচরণ শীর্ষক চিত্রকর্মের জন্য তার এই পুরস্কার প্রাপ্তি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর ড. আতিউর রহমান। শিশুদের চিত্রকর্ম দেখে মুগ্ধ হয়ে তিনি বলেন, চিত্রশিল্প জীবনকে ধারণ করে। আর যে শিশুরা চিত্রশিল্পের মতো সৃষ্টিশীল কাজে মগ্ন থাকে তারা বড় হলে সৃষ্টিশীল মানুষ হবে নিশ্চয়ই।

ড. আতিউর রহমান আরও বলেন, আমাদের এসব শিশুদের মধ্য থেকে আগামীর মকবুল ফিদা হুসেনের মতো বিশ্বখ্যাত শিল্পী বের হবে বলে আশা করি। বাস্তবতা আর কল্পনার দুই বলয়ে হেঁটে শিশুদের করা এসব শিল্পকর্ম সমৃদ্ধ হয়ে উঠছে। আর ব্যাংকগুলো এখন নানা সাংস্কৃতিক কাজে এগিয়ে আসছে যা ইতিবাচক।

প্রয়াত শিল্পী মকবুল ফিদা হুসেন ও মোহাম্মদ কিবরিয়ার প্রতি উৎসর্গীকৃত এ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চিত্রশিল্পী মনিরুল ইসলাম, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান এস এম হাসান, এবি ব্যাংকের এমডি এবং শিশু সাহিত্যিক কাইজার চৌধুরি, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. সুপ্রতিম হাওলাদার, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক রকিবুল হাসান প্রমুখ।

সভাপতিত্ব করেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও পটুয়া কামরুল হাসান আর্ট স্কুলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন পটুয়া কামরুল হাসান আর্ট স্কুলের পরিচালক আনোয়ার হাসান বাবু।

তৃতীয়বারের মতো আয়োজিত এবারের প্রতিযোগিতায় সারাদেশ থেকে শিশুদের আঁকা ৪ হাজার ১৫৫ টি ছবির মধ্য থেকে বাছাইকৃত ৮৩টি ছবি ও ৮৩ জন শিশুশিল্পী পুরস্কার লাভ করে। একজনকে চ্যাম্পিয়ন এবং ৪ গ্রুপ থেকে ৪জনকে রার্নাসআপ নির্বাচন করা হয়।

চ্যাম্পিয়ন পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশুকে নগদ ১০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড, গোল্ডেন ট্রফি, সনদপত্র ও রার্নাসআপ পুরস্কারপ্রাপ্তদের ২হাজার প্রাইজবন্ড ও সনদপত্র দেওয়া হয়। ৭৮ জন শিশুকে নগদ ৩’শ টাকার প্রাইজবন্ড,পদক ও সনদপত্র দেওয়া হয়।

আয়োজকেরা জানান, প্রতিযোগিতা হয়েছে চারটি গ্রুপে। প্লে থেকে কেজি শ্রেণী -ক,  প্রথম থেকে তৃতীয়- খ, চতুর্থ থেকে ষষ্ঠ- গ, সপ্তম থেকে দশম শ্রেণী ‘ঘ’ গ্রুপে  প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। আঁকার বিষয় ও মাধ্যম ছিলো উন্মুক্ত।

গত ৯ জুন থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের জয়নুল গ্যালারিতে এসব চিত্রের প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, শিল্প মানুষের আনন্দময় অভিব্যক্তি। আর আমাদের সংস্কৃতির বিকাশে শিল্পীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। বাংলাদেশের শিল্পধারার বৈচিত্রপূর্ণ ও বহুমাত্রিক ভাবনা, ধরন-আঙ্গিক ও গঠন চোখে পড়ার মতো।

এসময় তিনি এসব শিশুরা তাদের সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে দেশের মুখ উজ্বল করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

শিশুশিল্পী আহমেদ ইসমাঈল সোবহানের চিত্রশিক্ষক ও গ্লোরিয়াস ক্রিয়েটিভ সেন্টারের অধ্যক্ষ খন্দকার মাহফুজ আলম বলেন,  আহমেদ ইসমাঈল সোবহান অনেক মেধাবী চিত্রশিল্পী। সে এত কম বয়সেই চিত্রকলায় বেশ দক্ষ ও সৃষ্টিশীল। তার কম্পোজিশন অব বার্ড বা পাখিদের বিচরণ শীর্ষক চিত্রকর্মের একটি অসাধারণ চিত্র। পাখি, মনোরম পরিবেশ ও সবুজ বনভূমি তাকে কাছে টানে। এজন্যেই তাঁর চিত্রে প্রকৃতির নানা অবয়ব দেখা যায়।

বাংলাদেশ সময়: ২২৫৫ঘণ্টা, ২২ জুন, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।