ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

শিশুলেখক সামিউলের সাফল্য

গাজী মহিবুর রহমান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১১
শিশুলেখক সামিউলের সাফল্য

ম্যানচেস্টার: সামিউল ইসলাম অর্ণব, বয়স এখনো এক যুগ পেরোয়নি। জন্ম বাংলাদেশে হলেও বাবা-মা বৃটিশ বাংলাদেশি হওয়ায় ইংল্যান্ডের শীতল আবহাওয়াতেই বেড়ে ওঠা।



ম্যানচেস্টারের ফেলোফিল্ডে বাবা-মার সঙ্গে বসবাসরত অর্ণব পড়াশোনা করে স্থানীয় সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ম্যানচেস্টার গ্রামার স্কুলে ক্লাস সেভেনে। আধুনিক এই স্কুলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের সংখ্যা খুবই কম। সে শুধু অন্য দশটা ছেলের মতো এই স্কুলে পড়াশোনাই করছে না। বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হিসেবে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করছে এই স্কুলে।

যে স্কুলে পড়ার জন্য একজন ছাত্রকে বছরে টিউশন ফি দিতে হয় প্রায় ১০ হাজার পাউন্ড সেই স্কুলে অর্ণব মেধার স্বীকৃতি স্বরূপ স্কলারশিপে পড়াশোনার সুযোগ পেয়েছে। শুধু তাই নয়, তার মেধার স্বীকৃতি ইতোমধ্যে স্কুলের গণ্ডি পেড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে পুরো ইংল্যান্ডে।

দেশজুড়ে চলমান ‘ইয়াং ট্যালেন্টেড রাইটার’ প্রতিযোগিতায় ৫০ শব্দের মধ্যে Despicable war শিরোনামের আর্টিকেল লিখে অর্ণব ইংল্যান্ডের একজন ট্যালেন্ট ইয়াং রাইটার হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। সারাদেশ থেকে বাছাই করা এসব মেধাবি ইয়াং রাইটারদের লেখা নিয়ে আসছে অক্টোবরে প্রকাশিত হবে ‘ইয়াং রাইটারস্ এ্যানথলজি’ নামের একটি সংকলন। যা স্থান পাবে বৃটিশ লাইব্রেরিসহ ইংল্যান্ডের অধিকাংশ লাইব্রেরিতে।

যেখানে স্থান পাবে সামিউলের ৫০ শব্দের এই লেখাটি Flak shells cracked in the sky. Huge gun ships grew in the distance. Every minute several deaths occurred. A burning fear paralysed me. Before I knew it, a sharp bullet pierced my hamstring, blood gushing forth. I remember how my cruel father persuaded me to fight here. My eyes defocused.

অর্ণবের বাবা নজরুল ইসলাম এবং মা ডা. শারমিন চৌধুরী। এক ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে অর্ণবই বড়। অর্ণব সম্পর্কে বলতে গিয়ে ওর বাবা-মা বলেন, ‘ছেলেকে পড়াশোনার ব্যাপারে কখনই কিছু বলতে হয় না। বরং সে নিজে থেকেই এ ব্যাপারে খুব সচেতন। ’

অর্ণব অক্সফোর্ড বা ক্যামব্রিজে পড়ার স্বপ্নে বিভোর। সে ভবিষ্যতে একজন ডাক্তার হয়ে বাংলাদেশের মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চায়। পেশায় ডাক্তার হতে চাইলেও লেখালেখি চালিয়ে যেতে চায় এই ক্ষুদে লেখক।

ইংল্যান্ডের ব্যস্ততম যান্ত্রিক জীবনে অবসর পেলেই সে বই পড়তে পছন্দ করে। সুযোগ পেলেই ক্রিয়েটিভ কিছু লিখতে শুরু করে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।