ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক।

একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।

তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে প্রতি শুক্রমঙ্গলবার চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

[তৃতীয় পর্ব]

ওহ্, জ্যাক! তাহলে তুমি কী করবে? নোরা জানতে চায়।

আমার কিছুই হবে না! জ্যাক বলে। কথা হলো তোমরা তিনজন এখন কী করবে ভেবেছ? তোমাদের এভাবে মনমরা দেখতে আমার মোটেই ভালো লাগে না। আমরা সবাই যদি একসঙ্গে কোথাও পালিয়ে যেতে পারতাম!

সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সবাইকে খুঁজে বের করবে এবং ফিরিয়ে আনা হবে। হতাশায় মাইক বলে। আমি তা জানি। কাগজে আমি পালিয়ে যাওয়া ছেলেমেয়েদের কথা পড়েছি। সব সময় পুলিশ ওদের খুঁজে বের করে ফিরিয়ে নিয়ে আসে। এমন কোনো জায়গার কথা যদি আমার জানা থাকতো যেখানে গেলে আমাদের কেউ কখনই খুঁজে বের করতে পারবে না, তাহলে আমি পালাতাম।

সঙ্গে করে এই মেয়ে দু’টিকেও নিয়ে যেতাম। হ্যারিয়েট খালা ওদের ভয়ানক খাটাচ্ছে, যখন তখন চড় থাপ্পড় মারছে এসব দেখতে আমার খুবই খারাপ লাগে।

এখন আমার কথা শোন, হঠাৎ-ই জ্যাক বলে, তার কথায় ব্যগ্রতা ফুটে ওঠায় সেই তিনটে বাচ্চা ছেলে-মেয়ে তখনই তার দিকে ফেরে। আমি যদি তোমাদের কাছে খুব বড় ধরনের গোপন কিছু বলি তাহলে তোমরা কি আমাকে কথা দিতে পারো ওর একটা শব্দও কখনই কারও কাছে বলবে না?
ওহ্, হ্যাঁ, জ্যাক, আমরা কথা দিচ্ছি, তিনজনের সবাই বলে।

তুমি আমাদের বিশ্বাস করতে পারো, জ্যাক, মাইক বলে।

আমি জানি, সে বলে। ঠিক আছে, তাহলে শোন। আমি একটা জায়গার কথা জানি যেখানে কেউ আমাদের খুঁজে পাবে না- যদি আমরা সেখানে গিয়ে পালাই!
জায়গাটা কোথায়, জ্যাক? ওরা সবাই প্রচণ্ড উত্তেজনায় চেঁচিয়ে ওঠে।

আজক রাতে আমি জায়গাটা তোমাদের দেখাব, বসা থেকে উঠতে উঠতে জ্যাক বলে। কাজ শেষে, আটটার সময় সবাই লেকের পাশে থাকবে, আর আমি সেখানেই তোমাদের সঙ্গে দেখা করবো। আমাকে এখনই যেতে হবে, তা না হলে দাদা আমার ওপর রাগ করবেন। সম্ভবত আজ যাতে আর বের হয়ে আসতে না পারি সেজন্য আমাকে আমার ঘরে তালাবন্ধ করে আটকে রাখতে পারেন।

বিদায়, জ্যাক, নোরা বলে, তার এখন খুব ভালো লাগছে। আজ রাতে তোমার সঙ্গে আমাদের দেখা হচ্ছে।

[চলবে...]

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
**
এর আগের পর্ব: রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৬
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।