ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক।
একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।
তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে প্রতি শুক্র ও মঙ্গলবার চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

২. মজার একটা দিন
পরদিন বাচ্চা তিনটি জ্যাকের রহস্যের দ্বীপ ছাড়া আর কিছুই ভাবতে পারে না। ওরা কি পালিয়ে সেখানে যেতে পারবে, লুকিয়ে থাকতে পারবে? ওরা কি সেখানে বসবাস করতে পারবে? খাবার কোথায় পাবে? সবাই ওদের খোঁজাখুজি শুরু করলে তখন কী হবে? ওদের কি তারা খুঁজে পাবে?
এতোসব ভাবতে ভাবতে আর পরিকল্পনা আঁটতে আঁটতে সবার মন খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়ে! ওহ, রহস্য দ্বীপের কি যে উত্তেজনা! খুবই সুন্দর আর মনোরম। কেবল ওরা সবাই যদি ওখানে যেতে পারে, তাহলে ঝগড়া-বিবাদ আর চড়-থাপ্পড় থেকে নিরাপদ থাকতে পারবে!
এই প্রথমবার একত্রিত হওয়ার পর বাচ্চাদের নিজেদের মধ্যে আলাপচারিতার সময় অনেক কম, ওরা দ্বীপ নিয়ে কথা বলে।
“মাইক, আমরা যাবই!” নোরা বলে।
“মাইক, চলো জ্যাককে বলি আমরা যাব,” পেগি বলে।
মাইক তার কোঁকড়ানো চুলওয়ালা মাথাটা চুলকায়। সে চিন্তিত বোধ করে। সেও যাওয়ার জন্য খুবই ব্যগ্র, কিন্তু মেয়ে দু’টি কি অমন বুনো জীবনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারবে? শোওয়ার জন্য ভালো কোনো বিছানা নেই- সম্ভবত খাবার দাবারও নেই-এবং কেউ একজন অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন কী হবে? তবে, এটা কেবল সম্ভাবনা মাত্র। কিছু একটা গড়বড় হলে ফিরে আসার সুযোগ তো থাকছেই।
“আমরা যাচ্ছি,’ মাইক বলে। “সবকিছু নিয়ে আমরা জ্যাকের সঙ্গে কথা বলব। সে আমাদের চেয়ে ভালো জানে। ”
তাই সেই রাতে, জ্যাকের সঙ্গে দেখা হওয়ার পর থেকে, ওরা চারজন বুদ্ধি আঁটে। উত্তেজনায় ওদের মুখ লাল হয়ে আসে, চোখ জোড়া জ্বল জ্বল করে জ্বলতে থাকে। একটা অভিযান! সত্যিকারের এক রোমাঞ্চ, ঠিক রবিনসন ক্রুশোর মতো-যদি ওরা সবাই সেই নির্জন দ্বীপে গিয়ে বসবাস করতে পারে।

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)

** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

 

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৭ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৬

এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।