ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক।
একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।
তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

[পূর্ব প্রকাশের পর]

এখানে নামতে হবে- জ্যাক বলে। বালুময় তীরের একটা ঢালে নৌকা ভেড়ানো হয়। বালির উপর দিয়ে টেনে সেটাকে তীরে তোলে। সবাই লাফিয়ে নেমে চারদিকে দেখতে থাকে। ওদের নামার জায়গাটা একটা প্রাকৃতিক খাড়ি এলাকাÑ বনভোজনের জন্য খুব চমৎকার একটা জায়গা। তবে বনভোজনকারীরা কখনই এখানে আসেনি!

একটা নিঃসঙ্গ ভোঁদড় বারবার উঠে এসে বালির ওপর গড়াগড়ি খাচ্ছে। চারপাশে জল মোরগের ছড়াছড়ি। কোথাও কেটলি গরম করার জন্য আগুন জ্বালানো হয়নি। কোথাও কমলার খোসা বা জংধরা টিন পড়ে নেই। একেবারে আনকোরা।

‘চলো এখানে আমাদের জিনিসপত্র সব রেখে একটু ঘুরে দেখে আসা যাক। মাইক বলে। দ্বীপটা দেখতে কেমন সে কেবল তা জানতে আগ্রহী। দ্বীপে নামার পর সেটাকে এখন খুব বিশাল বলে মনে হচ্ছে।
‘ঠিক আছে। কথাটা বলে জ্যাক তার থলেটা নামিয়ে রাখে।
এসো, মাইক মেয়েদের বলে। বড় ধরনের একটা অভিযানের সবে শুরু।
ওরা ছোট্ট খাড়ি পেরিয়ে ঘন গাছের ভিড়ে ঢুকে পড়ে। শুরুতেই উইলো, ভুর্জ, বাদাম, আর কালোজাম দেখতে পাওয়া গেলেও পাহাড়ের কাছে যাওয়ার পর ওরা চারদিকে রুপালি বার্চ এবং ওক গাছ দেখতে পায়।

পাহাড়টা খুব ঢালু। ওপরে ওঠার পর সবাই সেখান থেকে অনেক দূরে লেকের একেবারে পুরোটা দেখতে পায়।
আমি আগেই বলেছি! এখানে আসার পর, এই পাহাড়টা শত্রুদের ওপর নজর রাখার জন্য আমাদের খুব কাজে আসবে!” উত্তেজিত হয়ে, মাইক বলে। এখান থেকে আমরা চারপাশের সবকিছুই দেখতে পাবো!
হ্যাঁ,” জ্যাক বলে। হঠাৎ এসে কেউ আমাদের বন্দি করতে পারবে না।
আমাদের অবশ্যই এখানে আসতে হবে! নোরা বলে। আরে, ওই খরগোশগুলোকে দেখো, পেগি- ওরা দেখতে পোষা খরগোশের মতোই। আর এই গায়ক পাখিগুলো তো একেবারে আমার হাতে এসে বসবে মনে হচ্ছে! ওরা এমন পোষা কেন, মাইক?

আমার ধারণা ওরা লোকজন দেখে অভ্যস্ত নয়, মাইক বলে। পাহাড়ের অন্যপাশটাতে কী আছে, জ্যাক? আমরা কি ওখানে যেতে পারবো?
চলবে...

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
***রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)
 

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৬
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।