ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১০৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক।

একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।

তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।


[পূর্বপ্রকাশের পর]

দ্বীপটা খুবই বড়, একদিনে সবটা দেখা সম্ভব নয়- জ্যাক বলে। তবে এর বেশির ভাগ তোমরা এরই মধ্যে দেখে ফেলেছো- বড় বড় গুহা সহকারে পাহাড়, ঝরনা, ঘনবন পেরিয়ে ঘাসে ছাওয়া মাঠের ওপারে আবারও জলাভূমি। ওহ, কি চমৎকার একটা জায়গা!

জ্যাক, আমরা এই দ্বীপের কোথায় থাকবো? পেগি বলে। আগে থেকেই মনে মনে সে সবকিছু গোছালো দেখতে অভ্যস্ত।
আমরা কাঠের একটা বাড়ি বানাবো, জ্যাক বলে। আমি জানি কীভাবে বানাতে হয়। গ্রীষ্মের জন্য নিখুঁত একটা বাড়ি বানাতে হবে এবং শীত পার করার জন্য আমাদের একটা গুহা খুঁজে বের করতে হবে, আমার তাই ধারণা।

উত্তেজনায় সবাই একে অপরের দিকে তাকাতে থাকে। নিজেদের বানানো কাঠের একটা বাড়ি আর গুহায় বসবাস! জ্যাকের মতো বন্ধু পেয়ে ওরা খুবই ভাগ্যবান, যার এমন একটা রহস্যময় দ্বীপ আর নৌকা আছে!

ওরা সবাই ক্ষুধা আর সুখী অবস্থায় ছোট্ট সেই অবতরণের জায়গায় ফিরে আসে। বসে বসে রুটি, মাংস, গাজর, মটরশুটি, চেরি, লেটুস আর কেক খায়। ওদের মনে হতে থাকে বোধহয়, জীবনে এই প্রথমবারের মতো ওরা তৃপ্তি সহকারে খাবার খেলো। একটা জল-মোরগ ওদের দিকে এগিয়ে আসে এবং নিজের বাড়িতে এত লোক দেখতে পেয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে। তবে পালিয়ে যায় না। চারপাশে ঘুরে ঘুরে, লেটুস পাতায় ঠোকর দিয়ে তীক্ষ্ণ স্বরে চেঁচিয়ে ওঠে, ফুলুক, ফুলুক!

ইস, আমি যদি সারাজীবন এই রহস্য দ্বীপে থাকতে পারতাম, আর কখনও যদি বড় না হতাম, তাহলে কত সুখেই না থাকতে পারতাম, নোরা বলে।
ভেবোনা, অন্তত এখানে অনেক দিন থাকার জন্য সঙ্গে যথেষ্ট জিনিসপত্র নিয়ে আসতে পারবো! জ্যাক বলে। তাহলে আমরা কবে আসছি?
এবং সঙ্গে কী কী আনছি? মাইক বলে।

ঠিকই তো, এখন আমাদের খুব বেশি কিছুর দারকার হবে না, জ্যাক বলে। রাতে শোওয়ার জন্য গুল্ম আর ফার্ন দিয়ে আমরা নরম বিছানা বানাতে পারবো। সঙ্গে আনা অ্যানামেলের মগ আর ছুরির মতো জিনিসগুলোই কেবল কাজে লাগবে। আমি সঙ্গে করে একটা কুড়াল ও খুব ধারালো একটা কাঠুরে ছুরি এনেছি। বাড়ি বানাবার সময় ওগুলো আমাদের কাজে আসবে। ওহ-আর আগুন ধরাবার জন্য সবচেয়ে বেশি কাজের জিনিস হলো, ম্যাচ। আমি আমার ছিপও সঙ্গে এনেছি।

চলবে...

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
***রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)
 

বাংলাদেশ সময়: ১১০০ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৪, ২০১৬
এএ

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।