ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৫)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৫)

সারাটা সপ্তাহ ওরা নিজেদের পরিকল্পনা মতো কাজ করে। হাজার বকাঝকাতেও ওরা কিছুই মনে করছে না দেখার পরও, খালা-খালু বাচ্চাদের এই পরিবর্তন বুঝে উঠতে পারে না। নোরা একটা চড় খাবার পরও কাঁদে না। রহস্য দ্বীপের কথা ভেবে তার চোখে আর জল আসে না! বাচ্চারা তাদের সব...

কাহিনী সংক্ষেপ: ১৯৩০ এর দশকের ঘটনা। যমজ মাইক, নোরা ও তাদের বছর খানেকের বড় বোন পেগি- তিন ভাইবোন খুবই অসুখী।

তাদের বাবা ও মা মিসেস আরনল্ড চমৎকার একটি প্লেন বানাবার পর সেটিতে করে অস্ট্রেলিয়ার দিকে উড়ে যায়। তারা আর ফিরে আসে না। তাদের সম্পর্কে এর বেশি কিছু জানাও সম্ভব হয় না। এরপর থেকে টানা দু’বছর বাচ্চারা তাদের খালা হ্যারিয়েট ও খালু হেনরির সঙ্গে থাকছেন। এই দু’জন খুবই বদরাগী আর ভয়ানক। একদিন খালা হ্যারিয়েট ঠিকঠাক পর্দা ধুতে না পারায় নোরাকে ছয়টি চড় মারে, রান্না করতে গিয়ে কেক পুড়িয়ে ফেলায় পেগিকে মেরে বিছানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়। মাইক সারাদিন তার খালুর সঙ্গে মাঠে কাজ করে। বাচ্চাদের কেউই এখন আর স্কুলে যায় না। তাদের সইবাকে ঘরগৃহস্থালির টুকিটাকি ফুট-ফরমায়েশ খেটে জীবন পার করতে হচ্ছে।

তাদের বন্ধু জ্যাক থাকে তার দাদার সঙ্গে, পাশের খামারে। বুড়ো সেই পরিত্যাক্ত খামার ফেলে তার মেয়ে জ্যাকের খালার কাছে চলে যাওয়ার কথা ভাবছে। তার মানে এরপর থেকে জ্যাককে সেখানে একাই থাকতে হবে। অসহায় বাচ্চাদের কাছে পেয়ে তাদের নিয়ে সে দল ভারি করে। প্রকাণ্ড লেকের মধ্যে রহস্যময় এক দ্বীপের খোঁজ তার জানা। ঘন বনে ঘেরা সেই দ্বীপের কথা কারোরই জানা নেই। এর আগে কেউই সেখানে যায়নি। পরের ঘটনা বিস্তারিত পড়তে চোখ রাখুন ইচ্ছেঘুড়ির পাতায়।

[পূর্ব প্রকাশের পর] ৩. পালানো

সারাটা সপ্তাহ ওরা নিজেদের পরিকল্পনা মতো কাজ করে। হাজার বকাঝকাতেও ওরা কিছুই মনে করছে না দেখার পরও, খালা-খালু বাচ্চাদের এই পরিবর্তন বুঝে উঠতে পারে না। নোরা একটা চড় খাবার পরও কাঁদে না। রহস্য দ্বীপের কথা ভেবে তার চোখে আর জল আসে না! বাচ্চারা তাদের সব কাপড় চোপড় লেকের পাশে সেই ফাঁপাগাছের কোটরে এনে জমা করে। মাইক চারটা এনামেলের কাপ, কয়েকটা এনামেলের বাসন এবং দুটা এনামেলের ডিস আনে।

নোরা একটা পুরাতন কেতলি আনে, খালা সেটা তাকে তুলে রেখেছিল। চুলায় চড়ানো হয় ওর মধ্য থেকে একটা আনার সাহস তার হয়নি। পেগি একটা ফ্রায়িং পেন এবং একটা সসপেন এনে গাছের কোটরে রাখে এবং ওগুলো খুঁজে না পেয়ে খালা ভয়ানক চেঁচামেচি শুরু করে।

জ্যাকও একটা সসপেন আনে এবং একটা কুঠার আর চমৎকার একটা ছুরি। সে কয়টা ছোট ছুরি, কাটা চামচ আর চামচও আনে, কারণ বাচ্চারা ওগুলো সরাবার সাহস পায়নি। ওদের ওখানে কেবল খালা-খালুর ব্যবহারের জন্য হাতে গুণা কয়েকটা রাখা ছিল। জ্যাক ওগুলো নিয়ে আসতে পারায় ওরা তাই খুব খুশি হয়।

“তুমি কি কয়েকটা খালি টিন আনতে পারো?” জ্যাক জিজ্ঞেস করে।

“আমি চিনি আর এরকম কিছু জিনিস আনতে চেষ্টা করব, কারণ জিনিসগুলো আমাদের দরকার হবে, তুমিতো জানই। দাদা কালকে আমাকে কিছু টাকা দেবে, তখন মজুদ করার জন্য আরো বেশ কিছু জিনিস কেনা যাবে। ”

চলবে...

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১২)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১১)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১০)
***রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৯)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৮)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৭)

**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৬)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৫)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৪)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩)
**রহস্য দ্বীপ (পর্ব-২)
** রহস্য দ্বীপ (পর্ব-১)

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৬
আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।