ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩৭)

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
রহস্য দ্বীপ (পর্ব-৩৭) রহস্য দ্বীপ

[পূর্ব প্রকাশের পর]
দারুণ, প্রশ্রয়ে এগিয়ে আসা জন্তুটার জন্য ফাঁস তৈরি করতে করতে। জ্যাক বলে ওঠে। এখন যাওয়ার আগে আমি পুরাতন কুটিরের ভেতরটা একটু উঁকি দিয়ে দেখতে চাই। আর দেখি আমাদের খুশি করতে পারে এমন কিছু পাওয়া যায় কিনা।

কয়টা তোয়ালে পাওয়া যাবে, কি মনে হয়? মাইক জিজ্ঞেস করে। পুরাতন বস্তায় গা মুছতে মুছতে ঘৃণা ধরে গেছে।



হুম, দেখছি যদি এখনও কয়েকটা থেকে থাকে, জ্যাক বলে। এই বলে চুপিচুপি সে পুরাতন কুটিরের দিকে এগোতে শুরু করে। দরজা খুঁজে পাওয়ার পরও খুব সহজেই জানালা দিয়ে ভেতরে ঢোকে। একটা দিয়াশলাই কাঠি জ্বালিয়ে চারপাশটা দেখে। কুটিরটার ভেতরে কেবল দু’টি কামরা, একটা বসার ঘর ও একটা শোবার ঘর। আসবাবপত্রের কোনো কিছুই এখন আর নেই।

জ্যাক রান্নাঘরের দরজার পেছনে তাকায় এবং যা খুঁজছিল তা পেয়ে যায়। তোয়লের বড় একটা রোলার তখনও সেখানটায় ঝুলছে। খুব নোংরা হলেও খুব সহজেই ধুয়ে নেওয়া যাবে। সে শোবার ঘরের দরজার পেছনে তাকায়। হ্যাঁ, ওখানেও একটা রোলার-টাওয়েল রয়েছে! তার দাদা দরজার পেছনটা দেখবার কথা ভাবেনি। যাওয়ার সময় ওগুলো নিতে ভুলে গেছেন। জ্যাক মেঝেতে পড়ে থাকা পুরাতন কার্পেটটাও ঘুরে ঘুরে দেখে, তবে সেটা নেওয়ার চিন্তা বাদ দেয়। ওখানকার পরিচ্ছন্ন ফার্নই দারুণ কার্পেটের কাজ করছে!

জ্যাক কটেজের পেছনে ছোট্ট ছাউনিটা ঘুরে ফিরে দেখে এবং সেখানেও সত্যিকার একটা কাজের জিনিসের খোঁজ মেলে! পুরাতন একটা কাঠের বাক্স পাওয়া যায় এবং ওর ভেতরে তার সব কাপড়-চোপড় রাখা রয়েছে! তার দাদা একসঙ্গে নেওয়ার মতো মূল্যবান বলে ভাবেনি। সত্যি বলতে কি ওগুলো বরং ন্যাকড়া হয়ে গেছে। তারপরও কাপড়ই রয়ে গেছে! ওর ভেতর তিনটি শার্ট, কয়েকটা অর্ন্তবাস, এবড়ো থেবড়ো একটা ট্রাউজার, একটা ওভারকোট, এক জোড়া পুরাতন জুতো এবং একটি ছেঁড়া কম্বল!

জ্যাক দাঁত বের করে হাসে। এর সবই সে সঙ্গে নিয়ে যাবে। শীতের সময় এর সবই কাজে আসবে। সবগুলো পড়ে সঙ্গে নেওয়ার সবচেয়ে ভালো একটা উপায় সে বের করে ফেলে। ছেলেটি তাই তার কাপড়ের ওপর, একে একে সবগুলো অর্ন্তবাস, শার্ট, ট্রাউজার, জুতো ও ওভারকোর্টটা পরেনেয়। কম্বলটাও গায়ে জড়ায়! ওকে খুবই অদ্ভুত দেখায়!

তারপর বাগানে গিয়ে তার অনেকগুলো পকেট সিম, মটরশুটি আর নতুন আলু দিয়ে ভর্তি করে। এরপর সে মাইক আর গাভীটিকে সঙ্গে নিয়ে ফিরে যাওয়ার কথা ভাবে। পশুটিকে ধরে থাকতে থাকতে মাইক হয়তো এরই মাঝে ক্লান্ত হয়ে পড়েছে!

তাই, দু’টি নোংরা তোয়ালে নিয়ে জ্যাক ধীরে ধীরে হেঁটে মাইকের কাছে আসে।

আমি তো ভেবেছিলাম তুমি আর কখনই আসবে না! খানিকটা রাগী স্বরে, মাইক বলে। কী হয়েছিল তোমার? আমার সঙ্গে এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে এই গরুটাও ক্লান্ত হয়ে পড়েছে।
আমি আমার অনেক কাপড়-চোপড় খুঁজে পেয়েছি। জ্যাক বলে। একটা পুরাতন কম্বল আর দু’টি তোয়ালে। গরুটিকে শিগগিরই কিছু ব্যয়াম করতে হবে! এসো! তুমি তোয়ালে আর কম্বলটা নাও, আর আমি ডেইজিকে নিচ্ছি।

চলবে.....
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০১৭
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।