ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

পাখি চিনি-৩

সুন্দরবনের সুন্দরী হাঁস

ইচ্ছেঘুড়ি ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৪, ২০১৯
সুন্দরবনের সুন্দরী হাঁস

নাম সুন্দরী হাঁস। সুন্দরবনে থাকে বলেই দক্ষিণ সুন্দরবনে এমন নাম। গোলবনে বেশি থাকে বলে গোইলো হাঁসও বলা হয়। শুদ্ধ ভাষায় গোলবনের হাঁস। ইংরেজি নাম মাস্ক ফিনফুট। বৈজ্ঞানিক নাম heliopais personata। ঠোঁটের আগা থেকে লেজের ডগা পর্যন্ত মাপ ৫৪-৫৭ সেন্টিমিটার। গলার তল থেকে বুক পর্যন্ত কালো। 

বুক-পেট সাদাটে বাদামি। পা ও পায়ের আঙুল হলুদরঙা, তাতে সবুজ আভা।

চোখের মণি কালো। মণির পাশের বৃত্তটা আলতা-লাল। ঠোঁটের রং কমলা-হলুদ। ডানা বোজানো অবস্থায় পিঠের রং কালচে বাদামি খয়েরি। ঘাড় ও মাথা শ্লেটরঙা। চোখের পাশ থেকে সাদা একটি টান নেমেছে গলার উপরিভাগ পর্যন্ত। সব মিলে পাখিটিকে হাঁস বলেই মনে হবে।

সুন্দরী হাঁসবছরে দুবার বাসা করে এরা। জোয়ারের পানি উঠবে না, উঠলেও বাসা ডুববে না এমন জায়গায় বাসা বাঁধে। দুজনে মিলে বাসা করে। ডিম পাড়ে ৪/৫টি। দু’জনে তা দেয়। ডিম ফুটতে সময় নেয় প্রায় এক মাস। বাচ্চারা জন্মের এক থেকে চার ঘণ্টার মধ্যেই বাবা-মায়ের সঙ্গে পানিতে নেমে সাঁতরাতে পারে। ডিম-বাচ্চার বড় শত্রু মেছোবাঘ, ও চিতাবিড়াল। ডিমখেকো সাপেরা ডিম-বাচ্চা খেয়ে ফেলে। এরা ভীত স্বভাবের। সহজে ডাকে না। খোলা জায়গায়ও কম দেখা যায়।  

পোষা পাতিহাঁসের খাদ্যতালিকায় যা যা থাকে সুন্দরী হাঁসও তাই তাই খায়। তবে সুন্দরবনে যা পাওয়া যায়। সুন্দরী হাঁস দেখতেও খুব সুন্দর। তাই সুন্দরবনে গেলে সুন্দরী হাঁস দেখতে পেলেও প্রাণ জুড়িয়ে যায়।

তথ্যসূত্র: বাংলাদেশের পাখি, শরীফ খান

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০১৯
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।