ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ইচ্ছেঘুড়ি

মানকের মার কানকেডা বড়

হাসান মাহমুদ রাজীব | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০১২
মানকের মার কানকেডা বড়

সে অনেক দিন আগের কথা। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের নলডাঙা রাজবাড়ির পাশে ছিল এক বিশাল জঙ্গল।

সে জঙ্গলে বাস করতো নানা প্রজাতীর পশু-পাখি, সাপ। জঙ্গলের পাশে কাজল বিলে থাকতো নানা রংয়ের শাপলা-শালুক ও বিভিন্ন রকমের মাছ। জঙ্গলের অপর পাশে ছিল নদী। চিত্রা নদী। নদীর পানি যেমন ছিল স্বচ্ছ তেমনি দু’কূল ছাপিয়ে কল কল ধ্বনিতে বয়ে চলতো সে নদীর পানি। এ নদীর সুবাদেই এখানকার মানুষ বিভিন্ন ফসলাদির আবাদ করতো।

নলডাঙার এই জঙ্গলে বাস করতো বিশাল বড় বড় বাঘ। ছিল হরিণ, শিয়াল আর জঙ্গলের এক পাশে নদীর ধারে কয়েকটি পরিবার। নদীর ধারে বসবাসকারী এই পরিবারগুলোর সঙ্গে বনের পশু-পাখির প্রায়ই কিছু অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে যেত। তো একবার হয়েছে কি- জঙ্গলের পাশে বাস করতো এক গরিব পরিবার। ছেলে মানিক ও তার মা। আর তাদের সঙ্গে ছিল দুটো গরু, কয়েকটি ছাগল ও কিছু মোরগ-মুরগি। এই নিয়ে তাদের ছোট পরিবার। ছোট মানিক সারাদিন নদীর ধারে বনের পাশে কিছু বন্ধু নিয়ে খেলা-ধুলায় ব্যস্ত থাকে। আর মানিকের মা নদীর ওপারে গৃহস্তের বাড়িতে কাম-কাজ করে যা পায় তাই দিয়ে কোনো মতে তাদের সংসার চলে। গরু ছাগলগুলো বদ্ধ গোয়ালে আটক থাকতো।

এই বাড়ির পাশেই বনে ছিল এক ধূর্ত শিয়াল। শিয়ালটি প্রায়ই মানিকদের দু’একটা মুরগি চুরি করে খেত। এই নিয়ে মানিকের মা খুব দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যায়। প্রতিদিনই পাজি শিয়ালটা মুরগি চুরি করে খায়। শিয়ালেই বা কি দোষ সেও গভীর জঙ্গলে যেতে পারে না বাঘ মামার ভয়ে। নয়লে তো বনের ভেতর থেকে দু’একটা বন মোরগ ধরে খেতে পারতো। বাধ্য হয়েই মানিকের মার পোষা মোরগগুলোর দিকে তার নজর দিতে হয়। আর মানিকের মার মোরগগুলো যা তরতাজা ও হৃষ্টপুষ্ট। কোনোরকম কষ্ট করে একটা সাবাড় করতে পারলে সারাদিন আর খিদেয় কষ্ট করতে হয় না।

এদিকে মানিকের মার প্রতিদিনই মুরগি হারানোর দুঃশ্চিন্তায় নাওয়া-খাওয়া হারাম হয়ে গিয়েছে। নিজের এক টুকরো জমি না থাকায় বনের পাশে এই খাসজমিতে এসে যে শান্তিতে বসবাস করবে তাও হওয়ার যো নেই। মাঝে মাঝে বাঘের উৎপাত তো আছেই। অনেক ভেবে চিন্তে সে মানিককে নিয়ে একটা বুদ্ধি বের করলো। যেভাবেই হোক পাজি শিয়ালটাকে শাস্তি দিতেই হবে।

পরদিনই মানিক ও মানিকের মা শিয়াল ধরার জন্য একটা ফাঁদ পাতলো। বস্তা ও মুরগি দিয়ে বানানো এই ফাঁদে পরদিন রাতে পাজি শিয়ালটা ঠিকই ধরা পড়লো। গভীর রাতে হঠাৎ দাপাদাপির শব্দ শুনে মানিকের মার ঘুম ভেঙে গেল। সে মানিককে সঙ্গে নিয়ে আগে থেকে জোগাড় করা লাঠিসোঁটা নিয়ে গিয়ে দেখে পাজি শিয়ালটা বস্তার ভেতর আটকা পড়ে আছে। বস্তার ভেতর থেকে বের হওয়ার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে। তখন দু’জনে মিলে শিয়ালটাকে দিল বেদম মার। মারের চোটে শিয়ালটা প্রায় মরার মতো অবস্থা। তখন মানকের মা শিয়ালটাকে নিয়ে পাশের ভাগাড়ে ফেলে এলো। কিন্তু ফাঁদটা ঠিকই নতুন করে পেতে রাখলো। বলা যায় না যদি আবার অন্য কোনো শিয়াল আসে। বনে তো আর পশু-পাখি একটি না।

এদিকে ভাগাড়ের আধমরা শিয়ালটি পরদিন কোনোরকমে খুড়িয়ে খুড়িয়ে বনের ভেতর হাঁটতে শুরু করলো। হাঁটতে হাঁটতে দেখা হলো ভয়ঙ্কর এক বাঘর সঙ্গে যেটা এর আগে শিয়ালকে খাওয়ার জন্য তাড়া করেছিল। সেবার সে কোনোরকমে প্রাণে রক্ষা পায়। এবার সে আর দৌড়ে পালানোর কোনো চেষ্টা করলো না। আর সেই শক্তিও তার নেই। কিন্ত কি আশ্চর্য শিয়ালটি বাঁচার চেষ্টা না করায় বাঘও তার সেই ভয়ঙ্কর চেহারা প্রদর্শন করলো না।

শুধু দয়ালু কণ্ঠে শিয়ালকে জিজ্ঞাসা করলো-

কিহে ভাগ্নে তোমার আজ কি হলো? এমন ঢুলে ঢুলে হাঁটছো কেন? খাওয়ার পরিমাণটা কি একটু বেশি হয়ে গেছে?

বাঘের এই কথা শুনে পাজি শিয়ালের মাথায় এলো এক নতুন ফন্দি। সে বাঘটাকে শাস্তি দেয়ার জন্য মনে মনে এক বুদ্ধি আটলো। এমন সুযোগ সে আর হাতছাড়া করতে চায় না। ওই দিন বাঘটা তার যা ভয় পাইয়ে দিয়েছিল। আর একটু হলে বাঘটা তাকে ধরেই ফেলতো। এতোদিন হয়তো সে দুষ্টু বাঘের উদরে হজম হয়ে তার মল বিষ্ঠায় পরিণত হতো। সে এবার এর প্রতিশোধ নিতে চায়।

তাই সে মাথা উঁচু করে বললো-

হ্যাঁ মামা ঠিকই ধরেছো। আজকের ভূরিভোজটা একটু বেশিই হয়ে গেছে। সকালের নাস্তা কি না তাই ঠিক মতো সাবাড় করতে পারছিলাম না। তাছাড়া যত্ন-আত্মিও ভালো করলো।

বাঘ মনে মনে ভাবলো সকালের নাস্তা যদি এমন ভরপেট হয় তাহলে দুপুরে নিশ্চয় আরো ব্যাপক আয়োজন থাকবে। তাই সে শিয়ালকে জিজ্ঞাসা করলো-

তা ভাগ্নে কে তোমার এমন যত্ন-আত্মি করে খাওয়ালো?

কেন মাম তুমি জানো না? এ বনের সবায় জানে যে আজ মানিকের মার বাড়ি বনের সকল পশুদের দাওয়াত আর তুমি জানো না? এতোক্ষণে মনে হয় দুপুরের মজলিশও শেষ হতে চললো। দেখছো না সবাই কেমন খেয়ে দেয়ে নাদুস-নুদুস হয়ে হেলে-দুলে ফিরে আসছে। তুমি বরং রাতেই যেও। ও বেলা খুব ভালো আয়োজন রয়েছে। শুনেছি রাতে শুধু মামাদের জন্যই বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে। শুনেছি কালীগঞ্জের হাটের সব গরুই নাকি রাতে মামাদের ভোজের ব্যবস্থায় রাখা হয়েছে। তুমি কিন্তু সন্ধ্যার পরপর যেও মামা। নয়লে অন্য মামাদের ভিড়ে এ আয়োজনটাও মিস করতে পার।

খাবারের এই বিশাল আয়োজনের কথা শোনার পর বাঘের আর তর সইছে না। সে গুহায় বাঘিনীর কাছে না ফিরে তখনই মানিকের মার বাড়ির দিকে পা বাড়ালো। হাঁটতে হাঁটতে সে অবশ্য কয়েটা পশু-পাখির কাছে দাওয়াতের ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলো। কিন্তু কেউ সঠিকভাবে কিছু বলতে পারলো না।

শেষে পথে এক হায়েনার সঙ্গে দেখা হলে বাঘ জিজ্ঞাসা করলো-

কিরে খাবার কেমন হলো?

হায়েনা ভয়ে ভয়ে সরে যেতে যেতে বললো, সে আর মন্দ কি। আমাদের তো একটা কিছু খাবার হলেই হলো।

এ কথা শুনে বাঘ আরো একটু আস্বস্ত হলো। তাই সে নদীর ধার দিয়ে দ্রুতগতিতে মানকের মার বাড়ির দিকে ছুটলো। যখন পৌঁছলো তখন সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত্রি নেমে এসেছে। আর বনের রাত মানে ঘুটঘুটে অন্ধকার।

এদিকে সারাদিন পর মানকে ও তার মা রাতে ঘুমের আয়োজন করতে যাচ্ছে। এমন সময় তারা চারদিক একটা শুনশান নীরবতা অনুভব করলো। বাইরে কান লাগিয়ে বুঝতে পারলো আশপাশে কোনো একটা সমস্যা হয়েছে। পাখিগুলো হঠাৎ করে ডাক বন্ধ করে দিয়েছে। বানরগুলো অতিমাত্রায় ছুটছুটি করছে। মানকের মা যা বুঝার বুঝে নিয়েছে। তাই সে ছেলেকে বললো দাবার থেকে রড দুটো এনে কাছে রাখতে। সে নিজেও গত দিনের তৈরি করা ফাঁদটা আর একবার দেখে আসলো। তারপর আল্লাহ-রাসূলের নাম নিয়ে শুয়ে পড়লো।

হঠাৎ তাদের ঘুম ভাঙলো বাইরের দাপাদাপির আওয়াজ ও মোরগ-মুরগিগুলোর গগণবিদারী চিৎকারে। মানকের মা তাড়াতাড়ি উঠে হারিকেনে বাতিটা বাড়িয়ে ছেলেকে ডেকে তুললো। তারপর দু’জনেই রড নিয়ে ছুটলো মুরগিঘরের ফাঁদের কাছে। গিয়ে অবস্থা দেখে তো তাদের চোখ ছানাবড়া। ভালো করে হারিকেন উঁচিয়ে দেখে যে গতকালের ফাঁদের বস্তার ভিতরে বিশালাকার এক প্রাণী ঢুকে বের হওয়ার চেষ্টায় ছটফট করছে।

সাহসী মানিকের মা কোনোরকমে হাতের হারিকেন রেখে দু’হাত রড নিয়ে বেদম বাড়ি দিতে থাকে। তাই দেখে ছেলে মানিক বাড়ির পর বাড়ি দিতে থাকে বাঘের শরীরে। এদিকে বস্তার ভেতর আটকেপড়া বাঘটির প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাই কোনোরকমে পড়ে থাকলো। বাঘের নিস্তেজ অবস্থা দেখে মানিক ও মানিকের মা এবার বাড়ি থামালো। তারা ভাবলো জন্তুটা বোধহয় মরে গেছে। তখন তার দু’জনে মিলে টেনে-হেঁচড়ে পাশের নদীতে ফেলে দিয়ে আসলো।

পরদিন সকালে গুহায় বাঘ না ফেরায় বাঘিনী তো চিন্তায় অস্থির। কি জানি বাঘটি কোথায় গেল কি? কি করছে? নানারকম সাত-পাঁচ চিন্তা করছে আর হাঁটছে। হাঁটতে হাঁটতে বনের মাঝে দেখা হলো সেই শিয়ালের সঙ্গে।

দুষ্টু শিয়াল ঘাড় ঘুরিয়ে জিজ্ঞাসা করলো-

কি মামি কোথায় চললে?

বাঘিনীও কাঁদো কাঁদো স্বরে বললো, আর বলো না ভাগ্নে তোমার মামা গতকাল বেরিয়েছে, এখনো ঘরে ফেরেনি। এদিকে খিদেয় প্রাণ যায যায় অবস্থা। দুষ্টু শিয়াল এবার মুখ টিপে হাসলো। সেই সঙ্গে তার মাথায় এলো আরেক নতুন বুদ্ধি। সে তখন বাঘিনীকে বললো-

মামাকে খুঁজে পাওয়া হয়তো সহজ হবে না। এই বনে অনেক দুষ্টু জীন আছে। ওইসব দুষ্টু জীনের দলই হয়তো মামাকে আটকে রাখতে পারে।

তাহলে আমি এখন কি করবো ভাগ্নে।

তুমি বরং এক কাজ করো মামি। এই বনের শেষ সীমানাই চিত্রা নদীর ধারে বাস করে মানকের মা বলে এক জ্যোতিষী। সে চেষ্টা করলে গুনে-পড়ে বলে দিতে পারে বাঘ মামার খোঁজ-খবর।

তাহলে ভাগ্নে আমি সেখানেই চললাম। এ কথা বলে বাঘিনী ছুটতে শুরু করলো মানকের মার বাড়ির দিকে। ছুটতে ছুটতে সে সন্ধ্যার কিছু আগদিয়ে পৌঁছে গেল মানকের মার বাড়িতে। হাঁপাতে হাঁপাতে সে বাড়ির পাশে গিয়ে করুণ সুরে মানিকের মা বলে ডাকলে লাগলো। কিন্তু তার সে ডাক মানিক ও তার মার কাছে বাঘের ভয়ঙ্কর গর্জন বলেই মনে হলো। তাই তারা আগের দিনের মতো ফাঁদটা ঠিকমতো পেতে ঘরে যেয়ে জড়ো-সড়ো হয়ে ঘাপটি মেরে থাকলো। বাঘিনীও যেতে যেতে সেই ফাঁদে পা বাড়ালো এবং আটকে গেল।

সারাদিনের ক্লান্ত ক্ষুধার্ত বাঘিনী সেই ফাঁদেই কোনোরকম উচ্চবাচ্য না করে নীরবে বসে রইলো মানিকের মার অপেক্ষায়। এদিকে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে মানিক ও তার মা লাঠিসোঁটা নিয়ে বের হলো ঘর থেকে। ফাঁদের কাছে যেতেই দেখে বড়সড় এক জন্তু ধরা পড়েছে বস্তার ফাঁদে। কালবিলম্ব না করে উত্তম-মাধ্যম দেয়া শুরু করলো তারা।  

প্রচণ্ড পিটুনিতে বাঘিনীর প্রাণ যায় যায় অবস্থা। তাই সে একবার চেষ্টা করলো বস্তার ফাঁদ থেকে ছুটে পালাতে এবং প্রচণ্ড শক্তি ও সাহস নিয়ে ফাঁদের বস্তা ছিড়ে দিলো ছুট। ছুটতে ছুটতে এসে পৌঁছল নদীর ধারে। ভাবলো এখানে একটু জিড়িয়ে নিই। মানিকের মার পিটুনিতে সারা শরীর রক্তাক্ত, তাই নদীর জলে শরীরটা ধুয়ে নিলো। প্রাণ তার ওষ্ঠাগত। আর একটু হলেই মারা যেত। এ যাত্রায় সে বেঁচে গেলো। শিয়ালটা কি তবে তাকে ধোঁকা দিলো। আর শিয়ালেরই বা দোষ কি। মানিকের মা তো মানুষ। সে পশুদের ভাষা বুঝবে কি করে। সে তো মানুষের জ্যোতিষী, বাঘ বা পশুদের না।

এসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ তার নজরে গেলো নদীর পানিতে। দেখে মাঝ নদীতে ভাসতে ভাসতে বস্তাভর্তি একটা কিছু আসছে। এদিকে খিদেও পেয়েছে প্রচুর। তাই সে তাড়াড়াড়ি পানিতে নেমে সেটা কূলে আনার চেষ্টা করলো। মনে হলো ওটার ভেতর কোনো পশু বা প্রাণী আছে। বাঘিনী বস্তাটি তাড়াতাড়ি তীরে এনে বুঝতে পারলো প্রাণীটি এখনো জীবিত। দ্রুত সে বস্তার মুখ খুললো।

যেই না সে বস্তার মুখ খুলেছে অমনি বস্তার ভেতর থেকে বেরিয়ে এলো এক মস্ত বড় বাঘ। বাঘিনী হঠাৎ ভড়কে গেলেও ভালো করে দেখে বুঝার চেষ্টা করলো। কিন্তু একি, এ যে তারই বাঘ, যাকে সে গত দু’দিন ধরে খুঁজছে। যার জন্য সে শিয়ালের কথা মতো মানিকের মার বাড়িতে যেয়ে প্রচণ্ড মার খেয়ে আধমরা হয়ে আজ এই অবস্থা।

এদিকে বাঘও তার বাঘিনীকে চিনতে পেরে হাউমাউ করে কেঁদে জড়িয়ে ধরলো। বাঘিনী তখন বললো-

তোমার এই অবস্থা কেন? এভাবে বস্তাবন্দি নদীতে ভাসছো কেন? কোনো দুষ্ট জীনে নিশ্চয় ধরেছিল।

আরে না না মানকে আর তার মা আমার এই অবস্থা করেছে। মানকের মার কানকেডা বড়।

তখন বাঘিনী বললো-

কিন্তু তার গুণনডা ভালো। যার কারণে আমাদের আবার দেখা হলো।

তবে তার গুতনডা ভারি -বাঘ এ কথা বলে হুঙ্কার ছাড়তে ছাড়তে বনের ভেতর প্রবেশ করলো।

এ ঘটনা শুনে শিয়াল বনের সব পশুদের মাঝে প্রচার করলো- ‘মানকের মার কানকেডা বড়, তার গুণনডা ভালো কিন্তু গুতনডা ভারি’।

সেই থেকে বনের কোনো হিংস্র পশু আর লোকালয়ে বেরিয়ে সহসা মানুষের বিরক্ত করে না।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।