ঢাকা, বুধবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি অনুসন্ধানের নির্দেশ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি অনুসন্ধানের নির্দেশ

ঢাকা: আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পত্তি থাকার খবর অনুসন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং বাংলাদেশ রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানির পর রোববার (১৫ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে এক মাসের মধ্যে অনুসন্ধান প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

রুলে বাংলাদেশির সম্পদ কেনা নিয়ে ওঠা অভিযোগ অনুসন্ধানে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ১০ জানুয়ারি ‘দুবাইয়ে ৪৫৯ বাংলাদেশির হাজার প্রোপার্টি’ শিরোনামে  একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন ছাপা হয়।

প্রতিবেদনটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস গত বৃহস্পতিবার এ আবেদন করেন।  

আদালতে আবেদনের পক্ষে আইনজীবী সুবীর নন্দী দাসের সঙ্গে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ রেখেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে বিদেশি ব্যাংক, বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারে যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেছিলেন আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস ও আব্দুল কাইয়ুম খান। সে রিটের প্রাথমিক শুনানির পর ওই বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট। পরে আরও কয়েক দফা শুনানি ও আদেশ হয় ওই রিটে। গত বছর ৩০ জানুয়ারি আদেশে আদালত সুইস ব্যাংকসহ অন্যান্য বিদেশি ব্যাংকে দেশের কারা অর্থ জমা রেখেছে বা পাচার করেছে, তা জানতে চান। ওই রিটের ধারাবাহিকতায় ৪৫৯ বাংলাদেশির সম্পদ কেনা নিয়ে ওঠা অভিযোগের অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন আইনজীবী সুবীর।

প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রকাশ্যে-গোপনে বিপুল পরিমাণ মূলধন স্থানান্তরিত হচ্ছে দুবাইয়ে। এ অর্থ পুনর্বিনিয়োগে ফুলেফেঁপে উঠছে দুবাইয়ের আর্থিক, ভূসম্পত্তি, আবাসনসহ (রিয়েল এস্টেট) বিভিন্ন খাত। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ডিফেন্স স্টাডিজের (সিএডিএস) সংগৃহীত তথ্য বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইইউ ট্যাক্স অবজারভেটরি জানিয়েছে, বাংলাদেশে তথ্য গোপন করে দুবাইয়ে প্রোপার্টি কিনেছেন ৪৫৯ বাংলাদেশি। ২০২০ সাল পর্যন্ত তাদের মালিকানায় সেখানে মোট ৯৭২টি জমি-বাড়ি কেনার তথ্য পাওয়া গেছে, কাগজে-কলমে যার মূল্য সাড়ে ৩১ কোটি ডলার। তবে প্রকৃতপক্ষে এসব সম্পত্তি কিনতে ক্রেতাদের অনেক বেশি ব্যয় করতে হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০২৩
ইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।