ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মেহেরপুরে বোমা হামলা-হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
মেহেরপুরে বোমা হামলা-হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

মেহেরপুর: মেহেরপুরে বোমা হামলা এবং হত্যা মামলায় আছিম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আছিম উদ্দিন মেহেরপুর সদর উপজেলার শোলমারী গ্রামের পাতান শেখের ছেলে।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে মেহেরপুরের স্পেশাল ট্রাইবুনাল—২ আদালতের বিচারক রিপতি কুমার বিশ্বাস এ রায় দেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৯ এপ্রিল মধ্যরাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার শুভরাজপুর গ্রামে ১০/১৫ জনের একদল সন্ত্রাসী রামদা, হাসুয়া, অস্ত্র ও বোমা নিয়ে ওই গ্রামের আলিফ হোসেনের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার স্ত্রী সামিনা খাতুনের কাছ থেকে ঘুমন্ত ছেলে আতাউর রহমানকে অপহরণ করে। এ সময় সামেনার চিৎকারে তার ভাই আব্দুস সামাদ এবং আব্দুল হালিমসহ অন্যান্যরা সন্ত্রাসীদের প্রতিহতের চেষ্টা করে। পরে সন্ত্রাসীরা প্রতিরোধকারীদের রুখতে কয়েকটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে পালিয়ে যায়।

সন্ত্রাসীদের ছোড়া বোমার আঘাতে আব্দুল হালিম মারাত্মক আহত হন। পরে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তিনি মারা যান। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে দণ্ডবিধি ৩০২/৩৪ ধারা এবং ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ও ৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং এস সি ৩৮/১৭, এস টি সি ৪২/২০১৪, জি আর কেস নং ৫৭৯/১৩)। মামলায় আসামি করা হয় আছিম উদ্দিন, জামাত আলী, কালু ও মিয়াদুলকে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) প্রাথমিক তদন্ত শেষ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় মোট ১১ জন সাক্ষ্য দেন। এতে আসামি আছিম উদ্দিন সন্দেহাতীতভাবে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ও ৪ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন।

একই ঘটনায় আসামি আছিম উদ্দিন ৩০২/৩৪ ধারায় দোষী প্রমাণ হওয়ায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত আসামি আছিম উদ্দিন পলাতক থাকায় আটকের দিন থেকে তার সাজা শুরু হবে।

মামলার অপর আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি কাজী শহিদুল হক, অপরদিকে আসামি পক্ষে কৌশলী ছিলেন অ্যাডভোকেট আরিফুজ্জামান।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।