ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মাকে কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৯ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
মাকে কুপিয়ে-পুড়িয়ে হত্যার দায়ে ছেলের মৃত্যুদণ্ড

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে মা আমেনা বেগম ওরফে ভেলবা আক্তারকে (৬০) কুপিয়ে ও পুড়িয়ে হত্যার দায়ে রেদওয়ান হোসেন মিলন (২৩) নামে এক যুবককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (১১ মে) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  

রেদওয়ান হোসেন মিলন জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের আশারকোটা গ্রামের ওহেদ আলী পাটওয়ারী বাড়ির মৃত আলী আকবরের ছোট ছেলে।  

মামলার এজাহার ও আদালত সূত্র জানায়, ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি সকালে বাড়ির লোকজন আমেনার বসতঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখেন। এসময় বাইরে থেকে তার ছোট ছেলে মিলনকে ঘরের ভেতর দেখতে পান তারা। বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করলে মিলন দরজা খুলে দিলে তারা ভেতরে ডুকে আমেনার পোড়া মৃতদেহ দেখতে পান। জেরার মুখে তিনি বাড়ির লোকজনের কাছে মাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন। পরে তারা মিলনকে আটক রেখে পুলিশে খবর দেন। রামগঞ্জ থানা পুলিশ পোড়া মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায় এবং মিলনে আটক করে।  

ওই দিন মিলনের মামা মো. টিপু সুলতান (৫১) বাদী হয়ে ভাগিনা মিলনকে আসামি করে রামগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করে।

মিলন তার মাকে হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। তিনি এতে জানান, ঘটনার ১০/১২ দিন আগে তিনি তার মায়ের সঙ্গে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার মানিকপুর গ্রামে নানা বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় মায়ের সঙ্গে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তার মা আমেনা চিকিৎসার জন্য তাকে দুই/তিনজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান। তার কাছে মনে হয়েছে- তার মা শয়তান। তাই মিলন তার মাকে ভোরের দিকে দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মৃতদেহের ওপর কাপড়চোপড় রেখে আগুন ধরিয়ে দেন।  

জেলা জজ আদালতের পাবলিক পসিকিউটর (পিপি) মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মিলনের দেওয়া জবানবন্দি এবং সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে হত্যার অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছেন।

ছেলেটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন কি না, তা জানা যায়নি। আদালতে তাকে সুস্থই মনে হয়েছে, জানান পিপি।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৭ ঘণ্টা, মে ১১, ২০২৩
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।