ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সাংবাদিকের স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে, ১২ বছর পর কনস্টেবলের সাজা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৯ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
সাংবাদিকের স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে, ১২ বছর পর কনস্টেবলের সাজা

নড়াইল: নড়াইলের এক সাংবাদিকের স্ত্রীকে ভাগিয়ে বিয়ে করায় দায়ে পুলিশ কনস্টেবল মো. রবিউল ইসলাম ও নিপা খানম দম্পতিকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
 
বৃহস্পতিবার (১১ মে) বিকেলে নড়াইলের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন এ রায় দেন।


 
পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলাম বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় কর্মরত। তার বাড়ি লোহাগড়া উপজেলার সারুলিয়া গ্রামে।
 
দৈনিক প্রতিদিনের কথা পত্রিকার লোহাগড়া উপজেলা প্রতিনিধি আকিকুর রহমান বাদী হয়ে ২০১১ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলাটি করেন।
 
মামলা ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০০৭ সালে লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলহাটা গ্রামের আকিকুর রহমান ও পাইকমারী গ্রামের নিপা খানমের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তান জন্মলাভ করে। কিন্তু ২০১১ সালে আগের প্রেমের সম্পর্কের কারণে নিপা খানম পালিয়ে চলে যায় সারুলিয়া গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল রবিউল ইসলামের সঙ্গে।
 
ওই বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর নীপা খানম তালাকের নোটিশ পাঠায় তার স্বামীর কাছে। পরে ২৭ অক্টোবর নীপা ও রবিউল বিয়ে করে।
 
দীর্ঘ ১২ বছর পর শুনানি শেষে ইদ্দদকালীন সময় ৩ মাস ১০ দিন পার না করে বিয়ে করায় তালাক বৈধ হয়নি বলে আদালত দন্ডবিধি এর ৪৯৪ ধারায় এ রায় দেন।
 
মামলার বাদী সাংবাদিক আকিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ১২ বছর হলেও এমন রায়ে আমি খুশি। মনের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হলো।
 
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইস্রাফিল খবির রাজু বাংলানিউজকে বলেন, আদালতের এই রায়ে সমাজে একটি সত্য প্রতিষ্ঠিত হলো। অবৈধ তালাকের মাধ্যমে অন্যের স্ত্রীকে বিয়ে করা যে অপরাধ সেটা প্রমাণিত হলো।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৬ ঘণ্টা, মে ১২, ২০২৩
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।