ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পরিবেশের ২ কর্তাসহ না. গঞ্জের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
পরিবেশের ২ কর্তাসহ না. গঞ্জের ডিসিকে হাইকোর্টে তলব ফাইল ফটো

ঢাকা: বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে আদেশ যথাযথভাবে প্রতিপালন না করায় পরিবেশ অধিদপ্তরের দুই কর্মকর্তা এবং নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসককে (ডিসি) তলব করেছেন হাইকোর্ট।

বুধবার (১৭ মে) বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আমাতুল করিম। আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।

পরে মনজিল মোরসেদ জানান, ঢাকাসহ ৫ জেলার সব অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে না। এছাড়া নারায়ণগঞ্জে পরিবেশ অধিদপ্তর অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে সহযোগিতা পাচ্ছেনা। এটা জানানোর পর হাইকোর্ট নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি), পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩১ মে তাদের হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালত ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও গাজীপুর জেলায় থাকা অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদ করে  পরিবেশ অধিদপ্তরের ডিজিকে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

বায়ু দূষণরোধে ৯ দফা নির্দেশনা দিয়ে ২০২০ সালে রায় দিয়েছেন উচ্চ আদালত।

নয় দফা নির্দেশনা বলা হয়-

১. ঢাকা শহরের মধ্যে বালি বা মাটি বহনকারী ট্রাকগুলোকে ঢেকে পরিবহণ করতে হবে।

২. যেসব জায়গায় নির্মাণকাজ চলছে সেসব জায়গার কনট্রাকটররা তা ঢেকে রাখবে।

৩. এছাড়া ঢাকার সড়কগুলোতে পানি ছিটানোর যে নির্দেশ ছিল, সে নির্দেশ অনুযায়ী যেসব জায়গায় এখনো পানি ছিটানো হচ্ছে না, সেসব এলাকায় পানি ছিটানোর ব্যবস্থা নিতে হবে।

৪. সড়কের মেগা প্রজেক্টের নির্মাণ কাজ এবং কার্পেটিংসহ যেসব কাজ চলছে, যেসব কাজ যেন আইন কানুন এবং চুক্তির টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন মেনে করা হয় সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

৫. যেসব গাড়ির কলো ধোঁয়া ছাড়ে সেগুলো জব্দ করতে বলা হয়েছে।

৬. সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ অনুযায়ী রাস্তায় চলাচলকারী গাড়ির ইকোনোমিক লাইফ নির্ধারণ করতে হবে এবং যেসব গাড়ি পুরাতন হয়ে গেছে সেগুলো চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে।

৭. যেসব উটভাটা লাইসেন্সবিহীনভাবে চলছে, সেগুলোর মধ্যে যেগুলো এখনো বন্ধ করা হয়নি, সেগুলো বন্ধ করে  প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

৮.পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি ছাড়া টায়ার পোড়ানো এবং ব্যাটারি রিসাইকিলিং বন্ধ করতে হবে।

৯.মার্কেট এবং দোকানের বর্জ্য প্যাকেট করে রাখতে হবে। তা মার্কেট ও দোকান বন্ধের পরে সিটি করপোরেশনকে অপসারণ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩২ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২২
ইএস/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।