ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীকে কবরস্থানে পাঠানোর হুমকি দাতা রাজশাহী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি হাইকোর্টকে অবহিত করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) বিষয়টি বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকার্ট বেঞ্চকে অবহিত করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমদ ভূঁইয়া।
তখন আদালত বলেন, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।
এর আগে গত সোমবার (২২ মে) বিষয়টি নজরে আনার পর হাইকোর্ট চাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়েছিলেন। ওইদিনই রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে চাঁদের নামে পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা হয়েছে বলে জানায়।
ওইদিন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ইমরান আহমদ ভূঁইয়া জানিয়েছিলেন, বিষয়টি সকালে আদালতের নজরে আনি। আদালত এ বিষয়ে পদক্ষেপ জানতে চেয়েছেন। তখন আমি রাজশাহী পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করি। রাজশাহী পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে পুঠিয়া থানায় মামলা হয়েছে। তখন আমি আবার আদালতকে বিষয়টি অবহিত করি। এ সময় আদালত বলেছেন, এখন আসামি গ্রেপ্তার করার দায়িত্ব পুলিশের।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজশাহী নগরীর কোর্ট ভেড়িপাড়া এলাকা থেকে আবু সাঈদ চাঁদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত শুক্রবার (১৯ মে) বিকেলে রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার শিবপুর হাইস্কুল মাঠে এক জনসমাবেশে আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, ‘আর ২৭ দফা, ১০ দফার মধ্যে আমরা নেই। একদফা- শেখ হাসিনাকে কবরস্থানে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে কবরে পাঠাতে হবে। শেখ হাসিনাকে পদত্যাগ করার জন্য যা যা করার দরকার আমরা করব। ’
ওই বক্তব্যের ভিডিও পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে রাজশাহীসহ গোটা দেশে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। চাঁদকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই গণধোলাইয়ের ঘোষণা দেন আওয়ামী লীগের কর্মী ও সমর্থকরা। রাজশাহীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে তার কুশপুতুল দাহ করা হয়।
গত রোববার (২১ মে) রাতে রাজশাহীর আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ বাদী হয়ে বিএনপির এ নেতার নামে পুঠিয়া থানায় সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করেন। এরপর থেকে চাঁদকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছিল।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
ইএস/আরবি