ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস: অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৭, ২০২৩
বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস: অধিকতর তদন্তের নির্দেশ

ঢাকা: বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) চার্জশিট গ্রহণ করেননি আদালত।

সোমবার (০৭ আগস্ট) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য ছিল।

আদালত চার্জশিট গ্রহণ না করে অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। একইসঙ্গে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন।

ট্রাইব্যুনালের পেশকার শামীম আল মামুন এ তথ্য জানান।  

গত ২২ জুন বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইসেন্সের ঢাকা অফিসে ডেপুটেশনে থাকা ডিজিএম ও নিয়োগ পরীক্ষা প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটির সদস্য মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ জোনাল টিমের পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী।

চার্জশিটে আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩১/৩২/৩৩/৩৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়। এরপর মামলাটি বদলি হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে আসে।

চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্সের ২৬ কর্মচারী রয়েছেন। উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, এমটি অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এমএলএসএস মো. জাহিদ হাসান, অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন, এমটি অপারেটর এনামুল হক, এমএলএসএস হারুন অর রশিদ, এমটি অপারেটর মাহফুজুল আলম, এমএলএসএস সমাজু ওরফে সোবাহান, এমএলএসএস জাকির হোসেন ও হেলপার জাবেদ হোসেন।

কার্গো হেলপার কামরুজ্জমান, ক্লিনার আমির ও পরিক্ষার্থী আরাফাতের নাম আসামিদের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিতে আসে। তবে কামরুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ না পাওয়ায় এবং অন্য দুজনের সঠিক নাম ঠিকানা না পাওয়ায় তাদের নাম চার্জশিটে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আসামিদের মধ্যে মেজর তাইজ তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ ১৯ জন পলাতক। বাকিরা গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বিকেল ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।

পদগুলো হলো- জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)।

পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। তাই পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণায় তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। বিক্ষোভের কারণে আনুমানিক দুই ঘণ্টা ধরে বিক্ষোভ চলে, যার কারণে রাস্তায় যান চলাচল বিঘ্ন ঘটে ও আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটে।

অন্যদিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে শুক্রবার (২১ অক্টোবর)  অনুষ্ঠিতব্য ১০ পদের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।

প্রশ্ন ফাঁসের এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪৮ ঘণ্টা, আগস্ট ০৭, ২০২৩
কেআই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।