ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ আশ্বিন ১৪৩১, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

পি কে হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় যুক্তিতর্ক পেছাল

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৬ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২৩
পি কে হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় যুক্তিতর্ক পেছাল

ঢাকা: অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থপাচারের মামলায় গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারসহ ১৪ জনের মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের তারিখ পিছিয়েছে।  

বুধবার (৯ আগস্ট) ঢাকার বিশেষ জজ-১০ মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে এই মামলায় আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য ছিল।

কিন্তু প্রস্তুতি না থাকায় এদিন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তিতর্কের জন্য সময় আবেদন করেন। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত আগামী ১৬ আগস্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের পরবর্তী দিন ধার্য করেন।

গত ২ আগস্ট দুদকের পক্ষে কৌঁসুলি মীর আহমেদ আলী সালাম যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। সেদিন তিনি আসামিদের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ সাজা দাবি করেন। এরপর আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।

গত ২০ জুলাই এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ১০৬ জন সাক্ষী থাকলেও বাড়তি দুজনসহ মোট ১০৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত। এরপর আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ২৬ জুলাই দিন রাখেন আদালত। ওইদিন কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শঙ্খ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।  

পি কে হালদারসহ অন্য ১০ আসামি পলাতক। তাই তারা আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য রাখতে পারেননি। পলাতক অন্য আসামিরা হলেন- পি কে হালদারের মা লীলাবতী হালদার, পূর্ণিমা রানী হালদার, উত্তম কুমার মিস্ত্রি, অমিতাভ অধিকারী, প্রীতিশ কুমার হালদার, রাজিব সোম, সুব্রত দাস, অনঙ্গ মোহন রায় ও স্বপন কুমার মিস্ত্রি।

২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে পি কে হালদারের বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি দায়ের করেন সংস্থাটির সহকারী পরিচালক মামুনুর রশীদ চৌধুরী।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পি কে হালদার বিভিন্ন অবৈধ ব্যবসা ও অবৈধ কার্যক্রমের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৭৪ কোটি ৯১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৫৫ টাকার অবৈধ সম্পদ নিজ দখলে রেখেছেন, যা দুদক আইন, ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ওই অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস, প্রকৃতি, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ, উৎস গোপন বা আড়াল করতে স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তর করে মানি লন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন।

এরপর মামলাটি তদন্ত করে চার্জশিট দাখিল করে দুদক। চার্জশিটে পিকে হালদারের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ কানাডিয়ান ডলারের সমপরিমাণ অর্থ দেশটিতে পাচারের অভিযোগ আনা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২৩
কেআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।