ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বেসিক ব্যাংকের চার কর্মকর্তার আত্মসমর্পণের আদেশ স্থগিত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২৫১ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
বেসিক ব্যাংকের চার কর্মকর্তার আত্মসমর্পণের আদেশ স্থগিত

ঢাকা: বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মামলায় ব্যাংকটির চার কর্মকর্তাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।  

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৯ আগস্ট) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। চার কর্মকর্তার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম।
আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান বলেন, হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত হওয়ায় এ চার কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে।

এর আগে হেড অফিসের এজিএম সাদিয়া আক্তার শাহীন ২০ মামলায় ও মো. জালাল উদ্দিন ১৮ মামলায়, গুলশান শাখার এজিএম রুমানা আহাদ ১৩ মামলায় এবং মতিঝিল লোকাল অফিসের এজিএম এ এস এম আনিসুর রহমান ১৮ মামলায় হাইকোর্টে আগাম জামিন চেয়েছিলেন।

৩ আগস্ট এ চার কমকর্তাকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। পরে দুদক এ আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৯ মামলায় ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। একটি ছাড়া বাকি ৫৮ মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে চার্জশিটভুক্ত আসামি করা হয়েছে। ১২ জুন সাংবাদিকদের ব্রিফ করে দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন এ তথ্য জানান।

ওই দিন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে দুদক সচিব মাহবুব হোসেন জানান, বেসিক ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যানসহ ৪৬ কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারীসহ এজাহারনামীয় এবং তদন্তে নাম আসা আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন।

তারা বিশ্বাস ভঙ্গ করে অন্যায়ভাবে নিজেরা লাভবান হয়ে এবং অন্যকে লাভবান করে ভুয়া মর্টগেজ, মর্টগেজের অতিমূল্যায়ন এবং মর্টগেজ ছাড়া বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন।

এসব ঘটনায় দুদকের পাঁচ তদন্তকারী কর্মকর্তা মোট ৫৯টি মামলা করেন। এর মধ্যে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ছয়টি, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৫টি, মো. মোনায়েম হোসেন ১৭টি, মোহাম্মদ সিরাজুল হক তিনটি ও মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান ১৮টি মামলার তদন্ত করেছেন। তাদের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০২৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১০, ২০২৩
ইএস/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।