ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

যুবদলের মুন্না রিমান্ডে, আইনজীবীদের হট্টগোলে এজলাস ছাড়লেন বিচারক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
যুবদলের মুন্না রিমান্ডে, আইনজীবীদের হট্টগোলে এজলাস ছাড়লেন বিচারক

ঢাকা: রাজধানীর রামপুরা থানার নাশকতার এক মামলায় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোনায়েম মুন্নার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শেখ সাদী রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

 

রিমান্ডের আদেশের পর মুন্নার আইনজীবীরা এজলাসে হট্টগোল শুরু করেন। তাদের হট্টগোলের মুখে একপর্যায়ে এজলাস ছেড়ে খাসকামরায় চলে যান বিচারক।  

ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ ইমরান জানান, আসামি মুন্নার পক্ষে থাকা আইনজীবীরা আদেশের পর এজলাসে হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় তারা আইনজীবীদের বসার জন্য নির্ধারিত বেঞ্চ ও বসার সোফা উল্টে ফেলে দেন। পরে বিচারক এজলাস ছেড়ে খাসকামরায় চলে যান।

তিনি জানান, রাজধানীর রামপুরা থানার নাশকতার এক মামলায় এদিন আবদুল মোনায়েম মুন্নাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে তোলা হয়। এসময় তার সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। আদেশের পর বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের কয়েকজন আদালতের মধ্যে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলা শুরু করেন। তখন বিচারক এজলাস ছেড়ে চলে যান। এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবীরা তাদের বাইরে বের করে দেন। তখন তারা বারান্দায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন।

গত ৮ মার্চ বিকেলে রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৭তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন মুন্না। ওইদিন সন্ধ্যায়ই শাহজাহানপুরের বাসভবনের সামনে থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।  

এরপর ২০০২ সালের ৭ ডিসেম্বর বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সংঘর্ষের ঘটনায় শাহজাহানপুর থানায় হওয়া মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ড চেয়ে মুন্নাকে আদালতে পাঠানো হয়। পরদিন তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ১২ মার্চ তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সেই থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩
কেআই/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।