ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শিশু খুনে সৎমায়ের মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
শিশু খুনে সৎমায়ের মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন ফাইল ফটো

ঢাকা: রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর ধলপুর হাসনাহেনা লেন এলাকায় শিশু মায়মুনা (৬) হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতে দণ্ডিত সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড সংশোধন করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ নিশ্চিতকরণের জন্য ডেথ রেফারেন্স ও আপিল শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি মো. আলী রেজার অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

আদালতে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী নাজমুস সাকিব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ। তার সঙ্গে ছিলেন- সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আকতার হোসেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদা পারভীন ফ্লোরা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম নূর নবী।

২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮ এর বিচারক শামীম আহাম্মদ আসামি সুমাইয়া ইসলাম শারমিনকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

মামলার নথিসূত্রে জানা যায়, মামলার বাদী আ. রাজ্জাক হাওলাদারের দ্বিতীয় স্ত্রী শারমিন। ২০১৪ সালের ৯ অক্টোবর রাজ্জাক তার গ্রামের বাড়ি মাদারীপুরের যান। পরদিন ১০ অক্টোবর তিনি খবর পান মায়মুনার মরদেহ বাথরুমের ড্রামে পাওয়া গেছে।

তিনি দ্রুত ঢাকা আসেন। বাসায় এসে বাম হাতের কব্জি ভাঙা, ডান পায়ের গিরার ওপর কামড়ের দাগ ও ঘাড় মটকানো অবস্থায় মায়মুনাকে দেখতে পান।

বাদীর মা ফুলজান বিবি রাজ্জাককে জানান, ঘটনার দিন রাতে শারমিন মায়মুনাকে তার কাছে ঘুমাতে নিয়ে যান। পরদিন সকালে ফুলজান বিবি শারমিনের রুমে মায়মুনাকে দেখতে না পেয়ে বাথরুমের পানির ড্রামের ভেতর মাথা নিচের দিকে ও পা ওপরের দিকে থাকা অবস্থায় মায়মুনাকে দেখতে পান।

এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর রাজ্জাক হাওলাদার বাদী হয়ে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

আরও পড়ুন...
সন্তান হত্যায় সৎ মায়ের মৃত্যুদণ্ড

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১২, ২০২৩
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।