ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গাইবান্ধা-৫: ইউএনওসহ চার কর্মকর্তা প্রত্যাহারের আদেশ বহাল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৪
গাইবান্ধা-৫: ইউএনওসহ চার কর্মকর্তা প্রত্যাহারের আদেশ বহাল

ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা (সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) মো. ইসাহাক আলীসহ চার কর্মকর্তাকে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা থেকে অবিলম্বে প্রত্যাহার বা বিরত রাখতে হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন।

এতে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রয়েছে বলে জানান আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন।

ওই আসনের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (৩ জানুয়ারি) বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ চার কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের ওই আদেশ দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও নির্বাচন কমিশন সচিবের প্রতি এ নির্দেশ দেওয়া হয়।

এটি স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে আবেদন করে।

ইউএনও ছাড়া বাকি তিন কর্মকর্তা হলেন সাঘাটা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সাদেকুজ্জামান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব ও ফুলছড়ি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন ও এ বি এম ছিদ্দিকুর রহমান খান। নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মোকাররামুছ সাকলান।

সাঘাটা, ফুলছড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা ছাড়া অন্য যেকোনো উপজেলা থেকে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা নিয়োগ ও ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়ে ওই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারজানা রাব্বী বুবলী (ট্রাক প্রতীক) ১ জানুয়ারি সিইসি বরাবর একটি আবেদন করেন।

বুবলী সাবেক ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বী মিয়ার কন্যা।

ওই আবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালের ১২ অক্টোবর আসনটিতে উপনির্বাচন হয়। তখন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে নির্বাচন সম্পন্ন করার চেষ্টা করেন। নির্বাচন পরিস্থিতি ইসি কর্তৃক নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় তখন একযোগে সব কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। এ নিয়ে প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নির্বাচন কমিশনের তদন্ত কমিটিতে প্রমাণিত।  

সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার অনেক কর্মকর্তা ও সাতটি কলেজের অনেক শিক্ষক নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারসহ লিফলেট বিতরণ করে ভোট প্রার্থনা করছেন। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মাহমুদ হাসান ও তার সমর্থকেরা ট্রাক প্রতীকের কর্মী ও সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছেন এবং বলছেন, স্থানীয় প্রিসাইডিং ও সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে প্রভাবিত করে ২০২২ সালের ১২ অক্টোবরের মতো পরিবেশ সৃষ্টি করে ভোটের ফল নৌকার পক্ষে নেবেন।

আবেদনে সাড়া না পেয়ে ফারজানা রাব্বী মঙ্গলবার রিট করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০২৪
ইএস/আরএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।