ঢাকা, সোমবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

৪ সপ্তাহ সুপ্রিম কোর্টে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না ২ আইনজীবী 

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
৪ সপ্তাহ সুপ্রিম কোর্টে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না ২ আইনজীবী 

ঢাকা: প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া আদালত বর্জনের কর্মসূচি সংক্রান্ত চিঠিতে বিচার বিভাগ নিয়ে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহারের অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবীকে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

এই সময়ে তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে মামলা পরিচালনা করতে পারবেন না।

 

তারা হলেন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও সদস্য সচিব  শাহ আহমেদ বাদল।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে তাদের পক্ষে সময় আবেদন করেন আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।  

পরে আইনজীবী মহসিন রশিদ বলেন, ব্যাখ্যা দিতে চার সপ্তাহ সময় দিয়েছেন।  এই সময়ে আমি এবং শাহ আহমেদ বাদল সুপ্রিম কোর্টে এপিয়ার করতে(মামলা পরিচালনা) পারবো না। তবে জজ কোর্টে পারবো।  

এর আগে গত ৩ জানুয়ারি এ দুই আইনজীবীকে হাজির হতে বলা হয়ে তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে কেন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।

ওই আদেশ অনুযায়ী এই দুই আইনজীবী বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগে হাজির হন।

  
গত ২৭ ডিসেম্বর এক সংবাদ সম্মেলন করে ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি আদালত বর্জনের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের সংগঠন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম।  

ওই কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মোহাম্মদ মহসিন রশিদ ও শাহ আহমেদ বাদল গত ১ জানুয়ারি আদালত বর্জন কর্মসূচি নিয়ে প্রধান বিচারপতির দপ্তরে চিঠি দেয়। পরদিন এ চিঠি প্রধান বিচারপতির দপ্তরে উপস্থাপন করা হয়।

চিঠিতে বলা হয়, আদালত বর্জন কর্মসূচি চলাকালে মামলা সংশ্লিষ্ট যেসব আইনজীবী শুনানিতে অংশ নিতে অথবা নির্ধারিত তারিখে আদালতে উপস্থিত থাকতে পারেবন না, সেসব মামলার পরবর্তী কার্যক্রম ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের অনুপস্থিতে মামলা খারিজ বা বিরূপ আদেশ দেওয়া উচিত হবে না।

এ চিঠি নিয়ে দেওয়া আপিল বিভাগের আদেশে বলা হয়েছে, চিঠিতে কিছু অবমাননাকর বিবৃতি (শব্দ ও বাক্য চয়ন) রয়েছে যা প্রাথমিকভাবে রাষ্ট্রবিরোধী এবং সামগ্রিকভাবে বিচার বিভাগের ভাবমূর্তি, অবস্থান এবং মর্যাদার প্রতি অবমাননাকর বলে মনে হয়েছে।  

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৭ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১,২০২৩
ইএস/এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।