ঢাকা, সোমবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত সাহেদ হাইকোর্টে খালাস

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডিত সাহেদ হাইকোর্টে খালাস

ঢাকা: অস্ত্র মামলায় রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে বিচারিক আদালতের দেওয়া যাবজ্জীবন দণ্ড থেকে খালাস দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার আপিল মঞ্জুর করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। সাহেদের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শাহ মঞ্জুরুল হক।

পরে শাহ মঞ্জুরুল হক বলেন, মো. সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখানে একটি অস্ত্র মামলা হয়, সেটি এখনো পেন্ডিং (বিচারাধীন)। সেখান থেকে উত্তরা নিয়ে আসা হয়। উত্তরায় তার একটি নিশান গাড়ীর বসার সিটের সামনে থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। চাবি উদ্ধার দেখানো হয়েছে আরেক জায়গা থেকে। এই যে উদ্ধার, জব্দ তালিকা সেটা প্রপারলি করা হয়নি।  

তিনি বলেন, বিচারিক আদালতের রায়ের পর আপিল করা হয়। আপিল শুনানি শেষে রায় হয়। অস্ত্রে দুই দেশের নাম লেখা ছিল। মেড ইন জাপান অ্যান্ড চায়না। জাপান হলে জাপান লেখা থাকবে, চায়না হলে চায়না। একটি অস্ত্রের গায়ে তো দুটি লেখা থাকতে পারে না। আমাদের যুক্তি ছিল, অস্ত্রটাই একটা ফেক (নকল) অস্ত্র। যেভাবে উদ্ধার করা হয়েছে, সেটাও যথাযথভাবে হয়নি। আদালত তার আপিল মঞ্জুর করে খালাস দিয়েছেন।

২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর এ মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ আদালত।  

মামলায় সাহেদকে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯(ক) ধারায় যাবজ্জীবন ও (চ) ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া ওই অস্ত্র বাজেয়াপ্ত ও যে গাড়ি থেকে অস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়েছে, তার মালিকানা যাচাই করে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। পরে হাইকোর্টে আপিল করে সাহেদ।

২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে সাহেদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এরপর তাকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। পরে উত্তরা পশ্চিম থানায় র‌্যাব অস্ত্র আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

একই বছরের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। পরদিন ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৪
ইএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।