ঢাকা, সোমবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সিলেটে তাজুল হত্যায় সাত আসামির যাবজ্জীবন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৪
সিলেটে তাজুল হত্যায় সাত আসামির যাবজ্জীবন

সিলেট: সিলেটে স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা তাজুল ইসলাম হত্যা মামলার রায়ে সাত আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল ও বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস এ রায় ঘোষণা করেন। মামলায় মোট ১৬ আসামির ৯ জনকে অব্যহতি দেওয়া হয়।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, শাকিল ওরফে পিচ্চি শাকিল (২৪), সবুজ ওরফে টুকাই সবুজ (২৮), আল-আমিন ওরফে জেটলি (২৭), মিঠুন দাস ধর্মান্তরিত মিন্টু আহমেদ, আব্দুল ওয়াহাব কাইয়ুম (৩৮), তোফায়েল আহমদ ও আব্দুর রহিম।

নিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মফুর আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

হত্যাকাণ্ডের শিকার তাজুল ইসলাম নগরের খুলিয়াটুলা নীলিমা-৫২/৪ নেহার মঞ্জিলের বাসিন্দা ও সিসিকের বর্তমান সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর স্বামী। তিনি বিএনপির অংগসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন।

২০১৬ সালের ২০ আগস্ট রাত ১০টার দিকে নগরের কুয়ারপাড় সংলগ্ন খুলিয়াটুলা গরমদেওয়ানের মাজার সংলগ্ন সড়কে সিলেট সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত কাউন্সিলর শাহানা বেগম শানুর স্বামী তাজুল ইসলামকে কুপিয়ে খুন করা হয়। হত্যাকারীরা প্রথমে তার চোখে মরিচ ও চুন ছিটিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার রাতেই অভিযান চালিয়ে নারীসহ ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।

পরে ২৩ আগস্ট নিহতের স্ত্রী শাহানা বেগম শানু বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩/৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই কোতোয়ালি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইবাদুল্লাহ আদালতে এই মামলায় অভিযোগপত্র (নং-২২৩) দাখিল করেন। চার্জশিট থেকে তিনি ৬ জনকে অব্যাহতির আবেদন করেন।

মামলার দীর্ঘ প্রক্রিয়া শেষে মঙ্গলবার ৭ আসামিকে যানজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দেন আদালত। ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, রিপন আহমদ, আমিরুল বিক্রম, মাহবুবুর রহমান মারুফ, শেখ রিপন মিয়া, সৈয়দ হাফিজ, সৈয়দ আজিজ, গুলজার, কৃঞ্চ ও টিপু।

২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি দুপুরে কুয়ারপাড় পুলিশ ফাঁড়ির সামনে তাজুল ইসলামের কলেজ পড়ুয়া ছেলে সুহান ইসলামকেও (১৮) দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে হত্যা করে। ঘটনার প্রায় আড়াই বছর পর দুর্বৃত্তরা একই কায়দায় সুহানের বাবা তাজুল ইসলামকে (৪২) হত্যা করে।

তাজুলকে হত্যার আগে ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর তার বড় ছেলে রায়হান ইসলামকেও একই কায়দায় চোখে চুন ঢেলে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২৩
এনইউ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।