নাটোর: নাটোরে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণের দায়ে প্রায় ১৯ বছর পর আবু বকর সিদ্দিক (৫৯) ও রান্টু মিয়া (৩৯) নামে দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
জরিমানার টাকা আদায় করে ভিকটিমকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ আদেশ দেন। এসময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত আবু বকর সিদ্দিকের বাড়ি নাটোর সদরের হয়বতপুর গ্রামের ও রান্টু মিয়া জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার লক্ষীপুর এলাকার আনোয়ার হোসেনের ছেলে। ঘটনার সময় আবু বকর সিদ্দিকের বয়স ৪০ ও রান্টুর ছিল বয়স ২০ বছর। তারা তখন রাজমিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (বিশেষ পিপি) অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, ২০০৫ সালের মে মাসে নাটোর সদর উপজেলার হালসা গ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন আবু বক্কর এবং রানটু। সেই সময় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন তারা দুজন। তারা দুজন প্রায়ই ওই মেয়েটির বাড়িতে যাতায়াত করতেন।
একপর্যায়ে মেয়েটির মায়ের অনুপস্থিতিতে তারা মেয়েটিকে ফুঁসলিয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে গিয়ে অনৈতিক কাজ করেন। পরে বাড়িতে মেয়েকে না পেয়ে তার মা এবং আত্মীয়-স্বজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করেন। কোথাও না পেয়ে এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করা হয়। এরপর একই বছরের ৮ জুন ভিকটিমকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভিকটিমের মামা ইদ্রীস আলী বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে পুলিশ মামলার তদন্ত শেষে আদালতে ওই দুজনের নামে চার্জশিট দেন। মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় ১৯ বছর পর বৃহস্পতিবার এ রায় দিলেন বিচারক।
রায়ে বাদীপক্ষ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলে জানান বিশেষ পিপি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৪
এসআই