ঢাকা, সোমবার, ৮ আশ্বিন ১৪৩১, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

আইন ও আদালত

স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ: মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুজনের স্বীকারোক্তি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৪
স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ: মূল পরিকল্পনাকারীসহ দুজনের স্বীকারোক্তি

ঢাকা: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।  

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মুজাহিদুল ইসলাম ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।  

এ দুই আসামি হলেন- মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও মুরাদ হোসেন। তাদের মধ্যে মুরাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক। তার বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত গ্রামে। আর মামুন বহিরাগত। গত বুধবার মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে ও মুরাদকে নওগাঁ থেকে আটক করে র‌্যাব।  র‌্যাব জানায়, মামুনকে সেই ‘ধর্ষণের ঘটনায়’ মূল পরিকল্পনাকারী ও মুরাদ ছিলেন তার সহায়তাকারী।

পরে তাদের এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।  

ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আনোয়ারুল কবীর বাবুল এ তথ্য জানান।

এ মামলার অন্য চার আসামিকে তিনদিনের রিমান্ড শেষে গত বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়। এ চারজন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ছাত্র ও শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান, একই বিভাগের শিক্ষার্থী সাগর সিদ্দিকী ও হাসানুজ্জামান এবং উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান।

এ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ৪ ফেব্রুয়ারি তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। সেই রিমান্ড শেষে গতকাল তাদের আদালতে হাজির করে আসামি কামরুজ্জামানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড ও বাকিদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। তবে কামরুজ্জামান স্বীকারোক্তি না দেওয়ায় সবাইকে কারাগারে পাঠানো হয়।  

মামলার বাদী ভুক্তভোগীর স্বামী এজাহারে উল্লেখ করেন, বাদীর পূর্ব পরিচিত বহিরাগত পলাতক আসামি মামুনুর রশীদ বাদীকে ও তার স্ত্রীসহ জাবিতে নিয়ে আসে। এ সময় বাদীকে মীর মশাররফ হোসেন হলের একটি কক্ষে আটকে রাখে। তখন হল সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনের ভেতরে পলাতক আসামি মুরাদ ও গ্রেপ্তার সাব্বির হাসান, সাগর সিদ্দিক ও হাসানুজ্জামানের সহায়তায় গ্রেপ্তার মোস্তাফিজ ও পলাতক মামুন বাদীর স্ত্রীকে জোরপূর্বক দল বেঁধে ধর্ষণ করেন।  

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী আশুলিয়া থানায় দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন। ঘটনার পর গত শনিবার রাতেই সাভার ও আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২৪
কেআই/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।