ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাগেরহাটে জেএমবির ৮ সদস্যের কারাদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
বাগেরহাটে জেএমবির ৮ সদস্যের কারাদণ্ড

বাগেরহাট: বাগেরহাটে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির আট সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে আটজনের মধ্যে ছয়জনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাগেরহাটের অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ড. মো. আতিকুস সামাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।  

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলার কাকারবিল এলাকার মো. বেদার মোল্লার ছেলে আকাশ মোল্লা, মো. কবিরুল ইসলাম পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের লোকমান ফরাজির ছেলে, মিজানুর রহমান পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার উত্তর সোনাখালি আলম হাওলাদার ওরফে শাহজাহানের ছেলে, রঘুনাথপুর গ্রামের আশরাফুল আলী ফরাজির ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার গড়েরকান্দা গ্রামের মো. জুম্মান আলী সরদারের ছেলে মো. মাকসুদুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশেমপুর গ্রামের গিয়াশ উদ্দিনের ছেলে মো. মোরশেদ আলম, সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ইটাগাছা গ্রামের মো. আব্দুল করিমের ছেলে মো. সাইফুল ইসলাম এবং বাগেরহাট সদর উপজেলার নাটইখালী গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে তরিকুল ইসলাম।

এর মধ্যে আকাশ মোল্লা, মো. কবিরুল ও মিজানুর রহমানকে আট বছর করে, জহিরুল ইসলাম, মাকসুদুর রহমান ও মো. মোর্শেদ আলমকে পাঁচ বছর করে এবং মো. সাইফুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলামকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। আর মো. সাইফুল ইসলাম ও তরিকুল ইসলাম ছাড়া অন্য সবাইকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর রাতে নাশকতা সৃষ্টি ও হত্যার উদ্দেশে জেলার কচুয়া উপজেলার খলিশাখালী এলাকার সাফায়েত শেখের বাগানে পরিত্যক্ত টিনের ঘরে অবস্থান নেন জেএমবির সদস্যরা। খবর পেয়ে পুলিশ অভিযানে যায়। তখন জেএমবি সদস্যরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে ধাওয়া করে পুলিশ চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয়। ওই সময় তাদের কাছ থেকে পিস্তল, চারটি হাত বোমা, শর্টগানের গুলি, বোমা তৈরির সরঞ্জাম, কম্পিউটারের হার্ডডিক্স ও সংগঠনটির জিহাদি বই জব্দ করে পুলিশ।  

পুলিশ তদন্ত শেষে এ চারজনসহ আরও আটজনকে অভিযুক্ত করে ২০১৭ সালের ১১ মে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত। মামলার শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ রায় দেন বিচারক।  

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মো. শহিদুজ্জামান এ রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।