ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪১ ঘণ্টা, জুলাই ৩, ২০২৪
হত্যা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরগঞ্জ: কিশোরগঞ্জে অটোরিকশাচালক সোহেল ওরফে বদন খন্দকার (৩৮) হত্যা মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে ২ লাখ করে টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে কিশোরগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আদালতে আসামিরা উপস্থিত ছিলেন।  

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার ছনছড়া গ্রামের মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়া (২৫), একই গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে মো. রব্বানী (২৫), ভাটি কৃষ্ণনগর গ্রামের খোকা মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (২৪) ও বাঁশগাড়ি গ্রামের মৃত আবু তাহেরের ছেলে মো. কাজল (৩৩)।

আর নিহত সোহেল কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর উপজেলার মাইজপাড়া গ্রামের আজিজুল ইসলাম খন্দকারের ছেলে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার দুর্জয় মোড় এলাকা থেকে সোহেল ওরফে বদর খন্দকারের অটোরিকশা ভাড়া করেন আসামিরা। এদিন রাত ৯টার দিকে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ সড়কের কালিকাপ্রসাদ এলাকায় অটোরিকশাচালক সোহেলকে হত্যা করে রিকশাটি নিয়ে পালিয়ে যান তারা। পরদিন সকালে কালিকাপ্রসাদ এলাকা থেকে সোহেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৫ সেপ্টেম্বর নিহত সোহেলের বাবা আব্দুল হান্নান খন্দকার বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই), কিশোরগঞ্জ। তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২২ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে কিশোরগঞ্জ আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন পিবিআইয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ জামিল হোসেন জিয়া। সাক্ষ্য ও শুনানি শেষে বুধবার এ রায় দেন বিচারক।  

কিশোরগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আবু নাসের মো. ফারুক সঞ্জু মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, জুলাই ০৩, ২০২৪
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।