নাটোর: নাটোরে তিনটি মামলায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ৬৯ জন দলীয় নেতাকর্মীকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩ বিচারক মো. মাইনুদ্দীন দুইটি ও যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ আদালতের বিচারক মো. শামসুল আল্-আমীন একটি মামলায় খালাস প্রদান করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রুহুল আমিন তালুকদার টগর বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ২০০৭ সালের ৮ এপ্রিল নলডাঙ্গা থানায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ২২ জনকে আসামি করে একটি চাঁদাবাজি মামলা দায়ের করেন রামশাকাজিপুর এলাকার জাহেরুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজা। এ মামলায় বাদী আদালতে সুনির্দিষ্টভাবে অপরাধ প্রমাণ করতে পারেননি।
অপর মামলা ২০০৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি রাতে রামশাকাজিপুর এলাকার সফুরা খাতুনের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালিয়ে লুটপাট শেষে আগুন ধরিয়ে দেয়। এঘটনায় বাড়ির মালিক সফুরা খাতুন বাদী হয়ে নলডাঙ্গা থানায় ২৭ এপ্রিল ২৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় বাদী পক্ষ আসামিদের শনাক্ত ও রাষ্ট্র পক্ষ সাক্ষী প্রমাণ করতে না পারায় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক আসামি বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ দুটি মামলার আসামি ৪৭ জনকে খালাস দেন।
আরেকটি মামলায় ২০০৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টার দিকে আমতলী বাজারে সুধির চন্দ্র সাহার মুদি দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট ও চাঁদাদাবি করে। এ ঘটনায় ২০০৮ সালের ৭ জুলাই নলডাঙ্গা থানায় সুধির চন্দ্র সাহা বাদী হয়ে বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ ২২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ মামলাতেও বাদী পক্ষ আসামিদের শনাক্ত ও রাষ্ট্র পক্ষ সাক্ষী প্রমাণ করতে না পারায় যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক আসামি বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলুসহ মামলার আসামি ২২ জনকে খালাস দেন।
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর পর তিনিসহ তার দলের নেতাকর্মীরা ন্যায় বিচার পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে গিয়ে নানা হয়রানি ও জুলুমের শিকার হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, আদালতে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে নেতাকর্মীদের মারপিট করা হয়েছে। সঠিক ও ন্যায়ের পথে থাকলে যতই জুলুম নির্যাতন করা হোক না কেন, একসময় ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হবেই।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
এসএম