ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা: তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
মা-মেয়েকে গলা কেটে হত্যা: তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দিগাম্বর বাজারে মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক মো. ইয়াছির আরাফাত এ রায় দেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আমীর হোসেন, আব্দুল হান্নান ও মনির মিয়া। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। অপরজন পলাতক।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ১১ মার্চ গভীর রাতে হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার দ্বিগাম্বর বাজারে একটি ভাড়া বাসায় অঞ্জলী দাস (৩৫) ও তার মেয়ে পূজা দাসকে (৮) গলা কেটে হত্যা করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা লুট করা হয়। তারা লামাপুটিজুরী গ্রামের সবজি ব্যবসায়ী সঞ্জিত দাসের স্ত্রী ও মেয়ে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের পাশ থেকে আমীর হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ ব্যাপারে ঘটনার পরদিন সঞ্জিত দাস বাহুবল মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে আমীর হোসেন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করে আব্দুল হান্নান ও মনির মিয়ার নাম প্রকাশ করেন।
পরে মামলাটি তদন্ত করেন বাহুবল মডেল থানার সেই সময়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবির ও প্রদীপ কুমার দাশ। মামলার তদন্ত শেষে তিনজনের নামে ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তারা। মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় মঙ্গলবার এ রায় দেন বিচারক। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী সঞ্জিত দাস ।  

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান খান বলেন, এ রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।  

তিনি দ্রুত এ রায় বাস্তবায়নের দাবি জানান।  

এদিকে আদালতে আসা আসামিদের স্বজনরা জানান, এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করবেন তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।