ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মেহেরপুরে সাবেক পুলিশ সুপারসহ ২৮ জনের নামে হত্যা মামলা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
মেহেরপুরে সাবেক পুলিশ সুপারসহ ২৮ জনের নামে হত্যা মামলা

মেহেরপুর: মেহেরপুরে বিএনপি কর্মী মোসায়েদ হত্যাকাণ্ডে সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) মোস্তাফিজুর রহমানকে প্রধান আসামি করে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসসহ ২৮ জনের নামে মামলা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রোববার (৩ নভেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শারমিন নাহারের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহতের বাবা মসলেম আলী।

আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শারমিন নাহার মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দেন। মামলায় তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আ. মতিন, ওসি (ডিবি) ওবাইদুর রহমান, ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই বিধান কুমার বিশ্বাস, আব্বাস, অর্জুন, জিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজনসহ ২৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, মোসায়েদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের একজন কর্মী।

মামলার বিবরণীতে জানা গেছে, মোসায়েদ মেহেরপুর জেলা বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের একজন কর্মী। ২০১৯ সালের জানুয়ারির ১ তারিখ রাতে বিএনপি কর্মী মোসায়েদকে মেহেরপুর শহরের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে মেহেরপুর সদর থানায় নিয়ে যায়। পরে ৩ তারিখ রাতে কথিত ক্রসফায়ারের নামে তাকে হত্যা করে পুলিশ।

মেহেরপুরে ২০১৯ সালে ক্রসফায়ারে মো. মোসায়েদ হত্যার অভিযোগ এনে আদালতে তৎকালীন পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসসহ ২৮ জনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন নিহত মোসায়েদের বাবা মোসলেম আলী। পরে আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে এজাহার নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মেহেরপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার বর্তমান চিটাগাং রেঞ্জের এডিশনাল ডিআইজি মোস্তাফিজুর রহমান, তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্বিক) আ. মতিন, মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তৎকালীন ওসি ওবাইদুর রহমান, এএসআই (নি.) মো. সাইদুর রহমান, রেজাউল হক, এসআই আব্বাস, ডিবি মেজবাহ, মুজিবনগর থানার ওসি রবিউল ইসলাম, এসআই (নি.) বিধান কুমার বিশ্বাস, এএসআই (নি.) সাইদুর রহমান, নায়েক আব্দুর রহিম, মো. ইকবাল হোসেন, মো. তোয়াজ আলী, সাধন কুমার, মিনহাজ, নারদ কুমার, এসআই অর্জুন, সদর থানার এসআই জিয়া, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, আওয়ামী 
 লীগের কর্মী তুফান, চঞ্চল, মো. সেলিম রেজা, কাজী খালেদ সাইফুল্লাহ, মো. আ. হাদি, আবু সুফিয়ান, সোহাগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, নিয়ত আলী।

মামলার বাদী মসলেম আলী বলেন, আমার ছেলেকে রাত ১টার ধরে নিয়ে যায় সদর থানা পুলিশ। সকালে আমি ও আমার ছেলের বউ জিনিসপত্র ও খাবার নিয়ে মোসায়েদের সঙ্গে দেখা করে আসি। রাতে আবার খাবার দিতে গিয়ে দেখি থানায় আমার ছেলে নেই। পরেরদিন আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়। হত্যার বিষয়ে আমাকে কিছু না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে ময়নাতদন্ত করে আমার বাড়িতে মরদেহ পাঠিয়ে দেয়। তারা এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নিলে আমাকেও খুন ও গুম করার হুমকি দিয়ে ভয়ভীতি দেখায়।

তিনি আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট গণবিপ্লবের পর দেশে ন্যায় বিচারের পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মামলার জন্য আবেদন করেছি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে সিআইডিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ৪, ২০২৪
এসএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।