ঢাকা: ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির বিষয়ে অনুসন্ধান করে ৩০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট।
ওই চুক্তির বৈধতা নিয়ে করা রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে চুক্তির বিস্তারিত প্রতিবেদন দিতে আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক মাসের মধ্যে এ কমিটি গঠন করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এছাড়া চুক্তির দরকষাকষি সংক্রান্ত সকল নথিপত্র আদালতে দাখিল করতে বলেছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন রিটকারী আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান।
আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানির জন্য আদানি গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি হয়েছিল। ইতোমধ্যে বিভিন্ন মহল থেকে এটার সমালোচনা করা বলা হচ্ছে, এটি একপক্ষীয় ও দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি। আইনজীবী হিসেবে এ বিষয়ে নোটিশ দিয়েছি, অন্যায্য ও অসম চুক্তি পুনর্বিবেচনা অথবা বাতিল করতে। এতে সাড়া না পেয়ে হাইকোর্টে রিট করি।
আজকে আদালত আমাদেরকে এবং রাষ্ট্রপক্ষকে শুনেছেন। আদালত একটা রুল জারি করেছেন। অসম ও অন্যায্য বাংলাদেশের স্বার্থের পরিপন্থি এই চুক্তি বাতিল করার জন্য কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না , এই মর্মে রুল জারি করেছেন।
একইসঙ্গে তিনটি অন্তবর্তী আদেশ দিয়েছেন।
এক. এই চুক্তিটার সইয়ের পূর্বে আদানি গ্রুপের সঙ্গে দরকষাকষির নথিপত্র একমাসের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
দুই. আন্তর্জাতিক জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। যারা এই চুক্তিটির সকল শর্ত আমাদের দেশের স্বার্থ পরিপন্থি কি আছে সেগুলো বিশ্লেষণ করে আদালতে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।
তিন. আরেকটা কমিটি গঠন করে এই চুক্তির যথাযথ প্রক্রিয়া সম্পর্কে অনুসন্ধান করে একটা প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছেন- বলে জানান এই আইনজীবী।
আদলত পরবর্তী আদেশের জন্য ফেব্রুয়ারি ২৫ দিন রেখেছেন।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম আবদুল কাইয়ূম আবেদনকারী হয়ে ১২ নভেম্বর রিট করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯,২০২৪
ইএস/এসআইএস