ঢাকা: নোয়াখালীর সাউথবাংলা হাসপাতালে মা ও নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগের ঘটনায় ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. সোলায়মান (তুষার) ডাকযোগে রোববার (২৯ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার, নোয়াখালীর সিভিল সার্জন, নোয়াখালীর সাউথ বাংলা হাসপাতাল, হাসপাতালের পরিচালক মহিউদ্দিন, নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জুনিয়র কনসালটেন্ট (অ্যানেস্থেসিয়া) ডাক্তার মো. আক্তার হোসেন অভি, তার স্ত্রী ও নোয়াখালী মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) জুনিয়র লেকচারার ডাক্তার ফৌজিয়া ফরিদ, সাউথ বাংলা হাসপাতালের মেডিকেল সহকারী জাহিদ হোসেন ও সাউথ বাংলা হাসপাতালের ওটি ইনচার্জ সজিব উদ্দিন হৃদয়কে ডাকযোগে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়।
আইনজীবী সোলায়মান (তুষার) জানান, ২০২৩ সালের ১৬ অক্টোবর রাতে সেনবাগ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক এম এ আউয়াল তার অন্তঃসত্ত্বা মেয়ে উম্মে সালমা নিশিকে চিকিৎসার জন্য সাউথবাংলা হাসপাতালে আসেন। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, কর্মরত মেডিকেল সহকারী জাহিদ হোসেনের সহায়তায় ডা. আক্তার হোসেন অভি ও তার স্ত্রী ডা. ফৌজিয়া ফরিদ রোগীকে হাসপাতালে আনুষ্ঠানিকভাবে ভর্তি না করে, রোগীর কোনো রকম পরীক্ষা-নীরিক্ষা না করে এবং অভিভাবকের সম্মতি না নিয়েই তাড়াহুড়া করে সিজার করেন।
এ সময় ঘটনাস্থলেই মা ও সন্তানের মৃত্যু হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসক ডা. অভি তার স্ত্রী ফৌজিয়া ফরিদ প্রসূতির অবস্থা সংকটাপন্ন জানিয়ে আইসিইউ সাপোর্টের কথা বলে কুমিল্লায় পাঠায়। ভুক্তভোগীর অভিভাবকেরা তাকে কুমিল্লার টাওয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানান, অনেক আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
এ ঘটনায় নোটিশ পাওয়ার পাঁচ দিনের মধ্যে ভুক্তভোগীর পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ব্যারিস্টার সোলায়মান (তুষার)।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০২৪
ইএস/আরএইচ