ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

ভরণ-পোষণ পাওয়ার অধিকার

ল’ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬
ভরণ-পোষণ পাওয়ার অধিকার

ভরণ-পোষণ সংক্রান্ত আইন জানার আগে ভরণ-পোষণ কি সে বিষয়ে আমাদের ধারণা থাকা দরকার। ‍আইনানুযায়ী ভরণপোষণ হচ্ছে জীবনধারনেণের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, চিকিৎসা ইত্যাদির মৌলিক চাহিদা।

এসব চাহিদা পুরণে একজন সক্ষম এবং উপার্জনক্ষম ব্যক্তি আইনানুযায়ী বাধ্য।

কারা ভরণ-পোষণ পাবেন:
স্ত্রী, নাবালক ছেলে-মেয়ে ভরণপোষণ পা‌ওয়ার অধিকারী।
 
স্ত্রীর ভরণ-পোষণ:
মুসলিম বিয়ে একটি দেওয়ানি চুক্তি। এর ফলে স্বামী-স্ত্রীর কিছু আইনগত অধিকার সৃষ্টি হয়। পাশাপাশি তাদের কিছু দায়-দায়িত্বও সৃষ্টি হয়। এর মধ্যে ভরণপোষণ অন্যতম।

ভরণ-পোষণ হচ্ছে স্ত্রীর অধিকার।

স্ত্রী থাকা-খাওয়া, পোশাক-পরিচ্ছদ, চিকিৎসা ও জীবনধারণের জন্য অন্যান্য যেসব উপকরন লাগবে তা পাওয়ার অধিকারী।

স্ত্রী কখন ভরণপোষণ পান
সাধারণত স্ত্রী যখন স্বামীর সঙ্গে বিবাহ-বন্ধনে আবদ্ধ থাকেন তখন এ অধিকার বলব থাকে। তবে বিবাহ বিচ্ছেদের পরেও শর্তসাপেক্ষে এ অধিকার বলবতৎ থাকে।

বিবাহ-বিচ্ছেদের পরে ভরণ-পোষণ:
যদি কোনো কারণে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটে তাহলে বিবাহ-বিচ্ছেদের পরও স্ত্রী কিছুদিন ভরণ-পোষণ পাওয়ার অধিকারী হবেন। বিবাহ-বিচ্ছেদ কার্যকরী হওয়ার পর ৯০ দিন পর্যন্ত ভরণপোষণ পাবেন।  

ভরণ-পোষণ আদায়ের ক্ষেত্রে স্ত্রীর আইনগত যে অধিকার রয়েছেঃ
১৯৮৫ সালের পারিবারিক আদালত অধ্যাদেশ অনুযায়ী ভরণপোষণের জন্য স্ত্রী মামলা করতে পারেন।

সন্তানদের ভরণ-পোষণ:
সন্তানদের ভরণ-পোষণ দেয়ার দায়িত্ব আইনগতভাবে বাবার। সাবালক হওয়া পর্যন্ত ছেলেকে এবং বিয়ের পূর্ব পর্যন্ত মেয়েকে বাবা ভরণপোষণ দিবেন।

কোনো অসুস্থ ও অক্ষম সন্তান থাকলে তাদের ভরণ-পোষণও দিবেন বাবা। সাবালকত্ব অর্জন করার পরেও যদি সন্তানরা নিজ ভরণ-পোষণ যোগাতে ব্যর্থ হন তবে আইন অনুসারে ঐ সন্তান বাবার কাছে ভরণ-পোষণ দাবি করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে বাবা ভরণ-পোষণ দিতে বাধ্য নন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৬

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।