ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

বাগেরহাটে হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৬
বাগেরহাটে হত্যা মামলায় ১ জনের যাবজ্জীবন

বাগেরহাট: বাগেরহাটের মংলায় যুবদল নেতা আব্দুল হালিম তালুকদার হত্যা মামলায় মো. নূরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে বাগেরহাটের দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান খান এ রায় দেন।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মো. নূরুজ্জামান বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার গৌরম্ভা ইউনিয়নের বর্ণি গ্রামের আব্দুল জলিল মাস্টারের ছেলে। জামিনে মুক্তির পর থেকে তিনি পলাতক ছিলেন।

মংলা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও মংলা পৌর মেয়র জুলফিকার আলী জানান, নিহত আব্দুল হালিম তালুকদার (৪০) মংলা পৌর যুবদলের সভাপতি ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর ছিলেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০০৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় মংলা শহরের রিমঝিম সিনেমা হলের পেছনে মংলা পৌরসভার কবরস্থান রোডে প্রয়াত নূর মোহাম্মদ তালুকদারের ছেলে বিএনপি নেতা আব্দুল হালিম তালুকদারসহ কয়েকজন ব্যাডমিন্টন খেলছিলেন। এসময় দু’টি রিকশায় করে চার যুবক খেলার মাঠে এসে যৌথ বাহিনী পরিচয় দিয়ে হালিমকে ডাক দেয়। হালিম খেলা বন্ধ করে তাদের দিকে এগিয়ে গেলে নূরুজ্জামান তার কাছে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি এর। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

পরে স্থানীয়রা নূরুজ্জামানকে ধাওয়া করে অস্ত্র ও গুলিসহ ধরে যৌথ বাহিনীর কাছে সোপর্দ করে। ঘটনার পর দিন ১৬ ডিসেম্বর নিহতের ভাই মোজাম্মেল হোসেন তালুকদার বাদী হয়ে নূরুজ্জামানসহ আটজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনের বিরুদ্ধে মংলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। বাগেরহাট জেলা সিআইডি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম জোয়াদ্দার ২০০৮ সালের ১৮ মে তদন্ত শেষে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১১ সালে ১৪ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রালয়ের আইন শাখা -১ এর (সারক নং - স্বম (আইন ১) প্রত্যাহার ১২/১০ (২৩ তম সভা)/৬২০৩) করে এক সভার সিদ্ধান্তে মামলার আসামিদের অব্যাহতি দিতে আদালতের কাছে আবেদন করেন। মামলা চলাকালে আদালত ওই আবেদনটি আমলে নিয়ে ১৬৪ ধারায় দোষী স্বীকারোক্তি দেওয়া আসামি নূরুজ্জামান ছাড়া অন্যদের অব্যাহতির বিষয়টি বিবেচনায় নেয় বিচার কাজ শুরু করেন।

মামলার ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আসামি নুরুজ্জামানকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন বাগেরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর শেখ মোহাম্মদ আলী এবং আসামি পক্ষে ছিলেন অজিয়ার রহমান পিকলু।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৯, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।