ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

গাজীপুরে স্কুলছাত্র অপহরণের পর হত্যার দায়ে ৩ জনের ফাঁসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০১৬
গাজীপুরে স্কুলছাত্র অপহরণের পর হত্যার দায়ে ৩ জনের ফাঁসি

গাজীপুর: গাজীপুরের কাপাসিয়ায় মুক্তিপণের দাবিতে স্কুলছাত্র গিয়াস উদ্দিনকে অপহরণ করে হত্যার দায়ে ৩ জনের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্তদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০৯ জুন) দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. ফজলে এলাহী ভূঁইয়া এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাজীপুরের কাপাসিয়ার উপজেলার সালদৈ এলাকার আবদুল হাইয়ের ছেলে আতাউর রহমান, হাশিম উদ্দিনের ছেলে আলম হোসেন ও কফিল উদ্দিনের ছেলে মো. ইউসুফ।

আসামিদেরকে ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও ৩৮৭ ধারায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, ৩৬৫ ধারায় ৭ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং ২০১ ধারায় ৩ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে আতাউর রহমান ও আলম হোসেন কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। অন্য আসামি মো. ইউসুফ পলাতক রয়েছেন।

অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় একই এলাকার জজ মিয়া ও তার স্ত্রী সমেজা খাতুন ওরফে বিলকিসকে খালাস দেন আদালত।

১৯৯৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর কাপাসিয়ার সালদৈ এলাকার মো. আব্দুল বাতেন বেপারির ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিনকে  আসামিরা অপহরণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। দাবিকৃত মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে আসামিরা গিয়াস উদ্দিনকে হত্যার পর মরদেহ গুম করেন।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে কাপাসিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইউসুফকে গ্রেফতার করেন। তার দেওয়া স্বীকারোক্তিমতে তিনমাস পর কাপাসিয়ার মাধুলি বিল থেকে গিয়াস উদ্দিনের বস্তাবন্দি কঙ্কাল উদ্ধার করা হয়।

এ মামলায় সাক্ষ্য দেন ২০ জন সাক্ষী।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মো. মকবুল হোসেন। আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট সুষমা রাণী মণ্ডল।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুন ০৯, ২০১৬
এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।