ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মানবতাবিরোধী অপরাধ

নোয়াখালীর চার রাজাকারের বিচার শুরু

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৪৪ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
নোয়াখালীর চার রাজাকারের বিচার শুরু

ঢাকা: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নোয়াখালী জেলার সুধারামের রাজাকার আমির আলীসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। আগামী ০৭ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের সূচনা বক্তব্য (ওপেনিং স্টেটমেন্ট) উপস্থাপন ও সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর দিন ধার্য করা হয়েছে।

একই মামলার আসামি ওই চারজনের মধ্যে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন ও মো. আব্দুল কুদ্দুস এবং পলাতক আছেন আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুর। এ মামলার অন্য আসামি মো. ইউসুফ আলী গ্রেফতার হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে মারা যাওয়ায় তাকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

তাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নোয়াখালীর সুধারামে ১১১ জনকে হত্যা-গণহত্যার তিনটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে।

উভয়পক্ষের শুনানি শেষে সোমবার (২০ জুন) অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল।

গ্রেফতারকৃত আমির আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমির আলী, মো. জয়নাল আবদিন ও মো. আব্দুল কুদ্দুসকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। তাদেরকে দোষী না নির্দোষ বলে জিজ্ঞাসা করা হলে নিজেদেরকে নির্দোষ বলে দাবি করেন আসামিরা।

অভিযোগ গঠনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর সাবিনা ইয়াসমিন মুন্নি এবং বিপক্ষে শুনানি করেন গ্রেফতারকৃত তিনজনের আইনজীবী এম মাসুদ রানা।

২০১৪ সালের ১৬ নভেম্বর থেকে গত বছরের ৩০ আগস্ট পর্যন্ত এ মামলায় পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে তদন্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. হেলাল উদ্দিন। গত বছরের ৩১ আগস্ট তদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে ওই দিনই প্রসিকিউশনের কাছে জমা দেন তদন্ত সংস্থা।

গত বছরের ০৫ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ (ফরমাল চার্জ) দাখিল করে পাঁচজনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান প্রসিকিউটর জাহিদ ইমাম। ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করলে ওইদিনই  নোয়াখালী ও লক্ষীপুর থেকে গ্রেফতার হন আমীর আহম্মেদ ওরফে রাজাকার আমীর আলী, মো. জয়নাল আবদিন ও মো. ইউসুফ আলী। পরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয় মো. আব্দুল কুদ্দুসকে।

১৪ অক্টোবর আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে পলাতক আবুল কালাম ওরফে এ কে এম মনসুরকে আত্মসমর্পণে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও তিনি আত্মসমর্পণ করেননি বা গ্রেফতার হননি। মনসুর পালিয়ে থাইল্যান্ড চলে গেছেন বলে নিশ্চিত হয়েছেন প্রসিকিউশন।    

বাংলাদেশ সময়: ১১৪০ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।