ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

নরসিংদীতে শিশু হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৬
নরসিংদীতে শিশু হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

নরসিংদী: নরসিংদীতে চাঞ্চল্যকর শিশু হাসিবুল হাসান অয়ন (০৬) হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে নরসিংদীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামীম আহাম্মদ এ  রায় দেন।

শিশু অয়ন নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার দড়ি হাইরমারা গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে। সে নরসিংদী শহরের ব্রাহ্মন্দী কে কে এম সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সদর উপজেলার বদরপুর এলাকার ইয়াছিন খানের ছেলে সজীব খান (২২), খোরশেদ আলম ওরফে স্বপন মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (১৮), আফতাব উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে শামীম ওসমান (১৯), হজরত আলীর ছেলে ইমরান মিয়া (২০) ও রুহুল আমিন মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া (১৮)।

আসামিদের মধ্যে ইমরান পলাতক রয়েছেন। অন্যরা রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন।

২০১৩ সালের ২৬ মে সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশু অয়ন বাড়ির পাশে একটি মাঠে খেলতে যায়। সন্ধ্যার পরও সে ঘরে না ফেরায় তার মা-বাবা তাকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করতে থাকেন। পরদিন প্রতিবেশী মনির হোসেনকে মোবাইল ফোনে অপহরণকারীরা জানায় শিশু অয়নকে তারা অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গেছেন।

পরে অয়নের বাবা সোহরাব হোসেন অপহরণকারীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে ২ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। পরে সোহরাব হোসেন অপহরণকারীদের মোবাইল ফোন নম্বর উল্লেখ করে নরসিংদী সদর থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন।

এরপর অপহরণকারীদের গ্রেফতারের পর তারা পুলিশকে জানায় শিশু অয়নকে হত্যা করে মরদেহ শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তাদের তথ্য অনুযায়ী পুলিশ অয়নের মরদেহ ঘোড়াশাল সড়ক সেতুর নিচ থেকে উদ্ধার করে। পরে অপহরণ মামলাটি হত্যা মামলায় পরিবর্তিত হয়।

অপহরণকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোর্টে চালান দিলে চার আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে পুলিশের চার্জশিট, আসামিদের স্বীকারোক্তি ও ১৪ জনের সাক্ষ্য শেষে বুধবার আদালত এ রায় দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৯ ঘণ্টা, জুলাই ২৭, ২০১৬, আপডেট: ২১৫৫
আরবি/এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।