ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

‘এডিআর বাড়লে মামলার জট কমবে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬
‘এডিআর বাড়লে মামলার জট কমবে’

সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেছেন, আইনজীবীরা হলেন জাতির বিবেক।

ঢাকা: সাবেক প্রধান বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেছেন, আইনজীবীরা হলেন জাতির বিবেক। মামলার জট কমাতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) পদ্ধতিতে মামলার বিচার নিষ্পত্তি করতে তাদের কার্যকর ভ‍ূমিকা রাখতে হবে।

এডিআর বাড়লে মামলার জট কমবে।

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) এক যুগপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক প্রধান বিচারপতি এ কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে এইচআরপিবির প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট মনজিলে মোরসেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী, সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু।

বিচারপতি মো. মোজাম্মেল হোসেন বলেন, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি পদ্ধতি কার্যকর করার জন্য দেওয়ানি কার্যবিধি সংশোধন করা হয়। কিন্তু এর (সংশোধনী) কার্যকর প্রয়োগ নেই। এটা কার্যকর করা গেলে মামলার জট কমবে। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা, অসহায়দের আইনি সেবা দেওয়ার মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে আইনজীবীদের ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, প্রশাসন ও বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠার জন্য নাগরিকের আইনের শাসন, মৌলিক মানবাধিকার রক্ষায় হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ কাজ করে যাবে প্রত্যাশা করি।

বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন আরও বলেন, আমি যখন প্রধান বিচারপতি ছিলাম তখন আমি অসহায়ত্ববোধ করতাম যে সুপ্রিম কোর্টের নামে এক ইঞ্চিও জমি নেই! আমি দেখতাম যে সুপ্রিম কোর্টের পায়ের নিচে মাটি নেই। কিন্তু এইচআরপিবির মামলার কারণে সুপ্রিম কোর্ট নিজস্ব জমি ফিরে পেয়েছে। এ মামলায় আপিল বিভাগে রায় লিখতে যেয়ে বিচার বিভাগের ইতিহাস দেখেছি।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৭, ২০১৬

ইএস/এএটি/এমজেএফ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।