ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

শাহানূর বিশ্বাসের চিকিৎসার সব খরচ রাষ্ট্রকে বহনের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
শাহানূর বিশ্বাসের চিকিৎসার সব খরচ রাষ্ট্রকে বহনের নির্দেশ

মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলায় দুই পা হারানো ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামের বর্গাচাষি শাহানূর বিশ্বাসের চিকিৎসার সব খরচ রাষ্ট্রকে বহন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

ঢাকা: মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বখাটেদের হামলায় দুই পা হারানো ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার নলভাঙ্গা গ্রামের বর্গাচাষি শাহানূর বিশ্বাসের চিকিৎসার সব খরচ রাষ্ট্রকে বহন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

 

শাহানূর বর্তমানে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন।

 

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহ’র হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ২২ নভেম্বর শাহানূর বিশ্বাসের ওপর হামলাকারী বখাটেদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারাবন্দি (গ্রেফতার) করে ২৭ নভেম্বর প্রতিবেদন দিতে আদেশ দিয়েছিলেন একই হাইকোর্ট বেঞ্চ।
 
রাষ্ট্রপক্ষের সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (২৭ নভেম্বর) প্রতিবেদনটি দিতে আরও দু’দিন সময় দেন আদালত।
 
মঙ্গলবার ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আদালতকে আসামিদের কারাবন্দি করার বিষয়টি অবহিত করে ওই প্রতিবেদন জমা দেন। এরপর আদালত সব খরচ বহনের জন্য স্বাস্থ্য অফিদফতরের মহাপরিচালক এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঝিনাইদহের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।

মামলার অভিযোগ ও পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, মেয়েকে স্কুলে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতেন বখাটেরা। এর প্রতিবাদ করেন বাবা শাহানূর। এ কারণে গত ১৬ অক্টোবর বখাটে ও প্রভাবশালীরা শাহানূরকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। তারা প্রথমে লোহার শাবল দিয়ে পিটিয়ে মাটিতে ফেলে দেন শাহানূরকে। পরে হাতুড়ি ও ছেনি দিয়ে হাঁটুতে আঘাত করেন। দলের অন্যরা লোহার রড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় পেটান। এতে শাহানূরের মারাত্মক রক্তক্ষরণ হয়।

 

আশঙ্কাজনক অবস্থায় যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে শাহানূরের দু’টি পা হাঁটুর ওপর থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে। তার পায়ে এ পর্যন্ত মোট চারবার অস্ত্রোপচার হয়েছে এবং ২০ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে।
এ ঘটনায় ১৬ জনকে আসামি করে মামলাটি করেন শাহানূরের ভাই মহিনূর। মামলার পর তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

হাইকোর্টের গ্রেফতারের আদেশের পরদিন গত ২৩ নভেম্বর বাকি ১৩ আসামি আত্মসমর্পণ করলে তাদের কারাগারে পাঠান ঝিনাইদহের একটি আদালত।

 

আসামিরা হলেন- ওই গ্রামের মাহাবুর রহমান, আযম আলী, মোতালেব হোসেন, বিল্লাল হোসেন, জাহিদ হোসেন, রুহুল আমীন, আরিফ হোসেন, বিপ্লব হোসেন, হাসান আলী, দুখু মিয়া, এমদাদুল হক, আবু তালেব ও কামাল হোসেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
ইএস/জেডএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।