ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ পৌষ ১৪৩১, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চাঁদাবাজির তিন মামলায় তারেককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
চাঁদাবাজির তিন মামলায় তারেককে আত্মসমর্পণের নির্দেশ

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও করফাঁকির মোট পাঁচটি মামলার স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছেন হাইকোর্ট।

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও করফাঁকির মোট পাঁচটি মামলার স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে চাঁদাবাজির তিন মামলায় একমাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।

২০০৭ সালে সাবেক জরুরি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে রাজধানীর শাহবাগ, কাফরুল ও গুলশান থানায় চাঁদাবাজির তিনটি ও নিম্ন আদালতে করফাঁকির দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।

বিচারপতি কাজী রেজা-উল-হক ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) এ আদেশ দেন।

এ আদেশের ফলে বিচারিক আদালতে মামলা পাঁচটির বিচারিক কার্যক্রম চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

চাঁদাবাজির তিন মামলা
আবদুল মোনেম লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খায়রুল বাশার ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে তারেকের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদার গিয়াস উদ্দিন আল মামুনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ৯ এপ্রিল শাহবাগ থানার মামলাটি করেন। পরে তারেক রহমানকেও এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরের বছর হাইকোর্ট এ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে তারেককে জামিন দেন।
 
উদয় টাওয়ারের মালিক ঠিকাদার আমীন আহমেদ ভুঁইয়া এক কোটি টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০০৭ সালের ৮ মার্চ তারেক রহমান ও তার একান্ত সহকারী মিয়া নুর উদ্দিন ওরফে অপুর বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে গুলশান থানার মামলাটি করেন। হাইকোর্টের আদেশে ওই বছরই মামলাটি স্থগিত হয়ে যায়, জামিন পান তারেক। পরে আপিল বিভাগেও স্থগিতাদেশ বহাল থাকে।
 
মার্শাল ডিস্টিলারি নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হারুন ফেরদৌসী ৮১ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৭ মার্চ গুলশান থানায় তারেক, মামুনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে মামলাটি জরুরি ক্ষমতা বিধিমালার আওতায় নেওয়া হলে তারেকের পক্ষে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। ওই বছরই মামলাটির কার্যক্রম স্থগিত করা হয় এবং তারেককে জামিন দেন আদালত।  
 
করফাঁকির দুই মামলা
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০০৬-০৭ করবর্ষে ২৪ লাখ ৩৯ হাজার ২২৬ টাকার করফাঁকির অভিযোগে তারেকের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই বছর ডিসেম্বরে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করেন উচ্চ আদালত।
 
২০০২-০৩ এবং ২০০৫-০৬ করবর্ষে ২৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা আয়কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে ২০০৮ সালের ৪ অগাস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে তারেকের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই বছরের ২৭ আগস্ট এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তারেক, মামলার কার্যক্রমও স্থগিত হয়ে যায়।

বাংলাদেশ সময়:  ১৫১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৬
ইএস/এএসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।