ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

মোবাইল কোর্ট নিয়ে আপিলের অনুমতি পেলো সরকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৬৩৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮
মোবাইল কোর্ট নিয়ে আপিলের অনুমতি পেলো সরকার

ঢাকা: নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা অবৈধ ঘোষণার রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের করা তিনটি লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।

১৩ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) এসব আপিলের ওপর শুনানির জন্য দিনও ঠিক করা হয়েছে। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্‌হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) এ রায় দেন।


 
আইন মন্ত্রণালয়ের দুইটি  ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি আবেদন রয়েছে। এ আবেদনগুলোর পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, আবদুল মতিন খসরু ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হাসান এম এস আজীম।

পরে মোতাহার হোসেন সাজু ও হাসান এম এস আজীম সাংবাদিকদের বলেন, আজ (মঙ্গলবার) আদালত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অবৈধ করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সরকারপক্ষের তিনটি লিভ মঞ্জুর করে আপিল শুনানির জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন।

এসব আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত থাকবে বলে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এছাড়া তিন সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

এ আদেশের ফলে আপাতত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।  

২০১১ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর ভবন নির্মাণ আইনের কয়েকটি ধারা লঙ্ঘনের অভিযোগে আবাসন কোম্পানি এসথেটিক প্রপার্টিজ ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খানকে ৩০ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ২০ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।  

এরপর ১১ অক্টোবর ভ্রাম্যমাণ আদালত আইন (মোবাইল কোর্ট অ্যাক্ট, ২০০৯) এর কয়েকটি ধারা ও উপধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট আবেদন করেন তিনি।

রিটের শুনানি নিয়ে একই বছর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। আদালতের জারি করা রুলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার ৫ ধারা এবং ৬(১), ৬(২), ৬(৪), ৭, ৮(১), ৯, ১০, ১১, ১৩, ১৫ ধারা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে।  

পরে এ ধরনের আরও দু’টি রিট করা হয়। তিন রিটে মোট ১৯ আবেদনকারীর শুনানি শেষে গত বছরের ১১ মে রায় ঘোষণা করা হয়।

হাইকোর্টের রায়ের পর হাসান এম এস আজীম জানিয়েছিলেন, রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, এটি অসাংবিধানিক ও মাসদার হোসেন মামলার (বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ) রায়ের পরিপন্থি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার পরিপন্থি।
এছাড়া ভ্রাম্যমাণ আদালত আইনে আবেদনকারীদের দেওয়া সাজাও বাতিল করেছেন। এর মধ্যে একজনকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল। তার টাকাও ৯০ দিনের মধ্যে ফেরত দেওয়ার রায় হয়েছে।
গত বছরের ১৪ মে এ রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন জানান রাষ্ট্রপক্ষ। ওই দিন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর আদালত ১৮ মে পর্যন্ত হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে শুনানির জন্য পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠানোর আদেশ দেন।  

পরে ২১ মে আপিল বিভাগ এ স্থগিতাদেশ আরও বাড়ান। পরবর্তীতে আরও কয়েক দফা বাড়ানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৮/আপডেট: ১৩২৭ ঘণ্টা
ইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।