ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

সুপ্রিম কোর্টে আরো নারী বিচারপতি  নিয়োগে প্রত্যাশা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৬ ঘণ্টা, মার্চ ৮, ২০১৮
সুপ্রিম কোর্টে আরো নারী বিচারপতি  নিয়োগে প্রত্যাশা উচ্চ আদালতে আরো নারী বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার প্রত্যাশা করেছেন দেশের প্রথম নারী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা

ঢাকা: উচ্চ আদালতে আরো নারী বিচারপতি নিয়োগ দেওয়ার প্রত্যাশা করেছেন দেশের প্রথম নারী বিচারপতি নাজমুন আরা সুলতানা।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস- ২০১৮ উপলক্ষে দক্ষিণ বাংলা নারী-আইনজীবী পরিষদ আয়োজিত এক  আলোচনা সভায় তিনি এ প্রত্যাশার কথা বলেন।

বৃহস্পতিবার (০৮ মার্চ) সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি সুরাইয়া বেগম।

আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। প্রধান বক্তা ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন।

আলোচনায় অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সভাপতি ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, বর্তমান সভাপতি জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস এমপি, এস এম মুনীর, শ ম রেজাউল করিম, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও সানজিদা খানম এমপি প্রমূখ।  

মতিয়া চৌধুরী বলেন, হাইকোর্টে নারী বিচারপতি হবেন এটা কেউ কি কখনো চিন্তা করেছিলো? জবাবে বলবেন না। কিন্তু শেখ হাসিনা সেই  চিন্তা  করেছিলেন। তেমনিভাবে এসপি, ডিসিসহ বিভিন্ন পদে নারীদের উচ্চাসন করেছেন তিনি।

তিনি বলেন, আশকোনায় এক জঙ্গি আস্তানা থেকে এক নারী শিশুসহ বের হলেন। নাম তার সাকিরা। তার প্রথম স্বামী ক্যান্সারে মারা গেলো। পরে এদের ফান্দে পড়লো।  বলা হলো একজন মরলে আরেকজন তোমার স্বামী হবে। সে মরলে পরের জন। এটা কি। মেয়েরা কী হাত বদলের জিনিস? বিষয়গুলো সবার উপলব্ধিতে আসা দরকার।

নাজমুন আরা সুলতানা বলেন, নারী বিচারকদের একটি সংগঠন আছেন। নাম হচ্ছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অব উইমেন জাজেস। এটার সভাপতি আর্জেন্টিনা সুপ্রিম কোর্টের একজন সিনিয়র বিচারপতি। এই সংগঠনটির এবারের আন্তর্জাতিক নারী দিবসের ক্যাম্পেইন হলো- More Woman More Justice. এ কারণে উচ্চ আদালতে আরো নারী বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে এটাই আমার এটাই আমার প্রত্যাশা।

তিনি বলেন, ২৪ বছর ধরে সরকার প্রধান নারী, বিচার বিভাগে পঁচিশ শতাংশের বেশি নারী, সহকারী জজ নিয়োগ পরীক্ষায় প্রতি ব্যাচে প্র্রথম দিকের চার পাঁচজন নারী থাকে। শ্রম ও কৃষিতেও নারীরা এগিয়ে। এরপরও বিরাট অংশ অনগ্রসর। কারণ দারিদ্রতা, অশিক্ষা  ও পুরুষের মনোভাব। এ জন্য আলোকিত নারীরা যারা আছেন তারা অনগ্রসরদের জন্য এগিয়ে আসতে হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ২২২৫ ঘণ্টা, ৮ মার্চ, ২০১৮
ইএস/এমএইউ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।