ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

আইন ও আদালত

চ্যারিটেবল মামলার শুনানি ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
চ্যারিটেবল মামলার শুনানি ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুলতবি

ঢাকা: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর (সোমবার) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। সেদিন থেকে তিন দিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে। এ শুনানি চলবে মামলার আসামি  বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর অবস্থিত ৫ম বিশেষ জজ আদালত এ আদেশ দেন।

মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল গত ১২ সেপ্টেম্বর।

কিন্তু সেদিন খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। তার পরিবর্তে খালেদার কাস্টডি আদালতে পাঠানো হয়। সেখানে উল্লেখ করা হয় খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে ‘অনিচ্ছুক’। এরপর ১৩ সেপ্টেম্বরও খালেদার ‘অনিচ্ছা’র কথা জানিয়ে একই কাস্টডি পাঠানো হয় আদালতে।

সেদিন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী ও আসামিপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে কি-না, এ বিষয়ে আদেশের জন্য ২০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত।

বৃহস্পতিবারের আদেশে আদালত বলেন, ‘মামলাটা পৌনে দুই বছর যাবত যুক্তিতর্ক শুনানির পর্যায়ে আছে, খালেদা জিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে আদালতে হাজির হচ্ছেন না। মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে। অন্য আসামিরাও ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ’

এমতাবস্থায় খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতেই অন্যান্য আসামির পক্ষে ‍যুক্তিতর্ক শুনানির জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত।

এই আদেশের পর দুপুর দেড়টার দিকে আদালত বিরতি দেন। দুপুর ২টায় ফের বসে আদালত। সেসময় আংশিক যুক্তিতর্ক শুনানি হয়। এরপর আদালত ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ শুনানি স্থগিত করেন। শুনানি পুনরায় শুরুর জন্য ২৪, ২৫ ও ২৬ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হওয়ার পর থেকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি আছেন। এরপর থেকে তারিখ পড়লেও অসুস্থ থাকায় চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় আদালতে হাজির হতে পারেননি তিনি।

চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন। খালেদা ছাড়া অভিযুক্ত অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

এরমধ্যে হারিছ চৌধুরী পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়াসহ অন্য তিনজন রয়েছেন জামিনে। বৃহস্পতিবারের এই আদেশের মাধ্যমে এ তিন জনের জামিন বর্ধিত হলো।

২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলা করা হয়। এ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে এ মামলা করে দুদক।

** চ্যারিটেবল মামলায় খালেদার অনুপস্থিতিতেই বিচার চলবে

বাংলাদেশ সময়: ১৫০৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৮
এমআই/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।